সংবাদের সূত্র হিসেবে টিকটকের চাহিদা বাড়ছে: অফকম জরিপ

ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

যুক্তরাজ্যের রেগুলেটর অফিস অফকমের জরিপ অনুসারে, যুক্তরাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে টিকটক সংবাদের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান সূত্রে পরিণত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে সেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সংবাদের সূত্র হিসেবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ১ শতাংশ ব্যবহৃত হত। তা বর্তমানে ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। অ্যাপ্লিকেশনটি দ্রুত বিনোদন ও তথ্যের জনপ্রিয় সূত্র হয়ে উঠছে।

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ শতাংশ 'জেন জি' অর্থাৎ ১৯৯৭ থেকে ২০১২ এর মধ্যে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা, তাদের দৈনন্দিন অনুসন্ধানের জন্য, যেমন: কোথায় ঘুরতে যাবে বা খাবে, সেগুলো টিকটক বা ইনস্টাগ্রামে খুঁজে বের করেন। অথচ, এটি আগে বেশিরভাগই গুগল সার্চ বা ম্যাপসের মাধ্যমে করা হতো।

যুক্তরাজ্যে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৭ শতাংশ টিকটক ব্যবহার করেন। জনপ্রিয়তার দিক থেকে এ ষষ্ঠ। তাদের ২৯ শতাংশ বিবিসি ওয়েবসাইট/অ্যাপ, ৩৫ শতাংশ টুইটার, ৩৬ শতাংশ নিউজ টিভি চ্যানেল বিবিসি ওয়ান, ৪০ শতাংশ ফেসবুক ও ৪৬ শতাংশ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন।

১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া নিউজের দিকে আগ্রহ অনেক বেশি। তাদের শীর্ষ ৩ ডিজিটাল সংবাদ সূত্র হচ্ছে, ইনস্টাগ্রাম (২৯ শতাংশ), ইউটিউব ও টিকটক (২৮ শতাংশ)।

কিশোরদের মধ্যে সংবাদের সূত্রগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে আরও ২টি বিষয়—পরিবারের সঙ্গে কথা বলা (৬৫ শতাংশ) ও টিভি দেখা (৫৯ শতাংশ)।

অফকম গ্রুপের স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড রিসার্চ ডিরেক্টর ইহ-চৌং চা গণমাধ্যমকে বলেন, 'আজকাল কিশোর-কিশোরীরা আপ-টু-ডেট থাকতে সংবাদপত্র বা টেলিভিশনের তুলনায় তাদের সোশ্যাল ফিডে স্ক্রলিং বেশি পছন্দ করে।'

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া গুজব ও ভুয়া সংবাদের কারণে বেশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, টিকটক গুজবের জন্য বেশ কুখ্যাতি অর্জন করেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সংবাদগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায়, টিকটক এ সম্পর্কে 'মিথ্যা বিবরণ' ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম বাহক ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবহারকারীরা এই সমস্যা সম্পর্কে কিছুটা হলেও সচেতন। অফকম বলছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সোশ্যাল মিডিয়াকে সংবাদের জন্য বিশ্বস্ত সূত্র মনে করেন না।

তবে, বিস্তৃত ও ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল দুনিয়ায় টিকটকের সরব উপস্থিতি জানান দিচ্ছে এই জরিপটি। যদিও অনেকে এই জরিপের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ করছেন।

তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ

Comments

The Daily Star  | English
govt employees punishment rule

Govt employees can now be punished for infractions within 14 working days

Law ministry issues ordinance amending the Public Service Act, 2018

1h ago