পাঞ্জাব উপ-নির্বাচনে ২০টির মধ্যে ১৫টিতে জয়ী ইমরানের পিটিআই

ইমরান খান। ছবি: ডন থেকে নেওয়া

'অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে সেই গর্তে নিজেকেই পড়তে হয়'—এমন বাংলা প্রবাদের হাতেনাতে প্রমাণ পেল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ।

নওয়াজ শরিফের মুসলিম লিগ মিত্রদের সহায়তায় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ক্ষমতা থেকে ইমরান খানকে সরিয়ে দেওয়ার পর পিটিআই পাঞ্জাব দখল করে নেবে তা যেন সবার কাছেই অপ্রত্যাশিত ছিল।

আজ সোমবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, গতকাল পাঞ্জাব গণপরিষদ নির্বাচনে ২০ 'বিতর্কিত' আসনের উপ-নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে ইমরান খানের দল ১৫ আসনে জয় পেয়েছে। মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ৪ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একটি আসনে জয় পেয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, এ নিয়ে ৩৭১ আসনের পাঞ্জাব গণপরিষদে পিটিআইয়ের ১৭৮, পিএমএল-এন ১৬৭, পিএমএল-কিউ ১০ ও পিপিপি ৭ আসন রয়েছে।

মিত্র পিএমএল-কিউ'কে নিয়ে পিটিআই এখন সহজেই পাঞ্জাবে সরকার গঠন করতে পারবে।

নির্বাচনে নিজেদের পরাজয় মেনে নিয়েছে নওয়াজ শরিফের দল ও মিত্ররা।

মূলত পিটিআই'র ২৫ সদস্য দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে গণপরিষদে মুখ্যমন্ত্রী পদে পিএমএল-এন'র প্রার্থী হামজা শেহবাজকে ভোট দেয়। তাদের মধ্যে ২০ জন ছিলেন নির্বাচিত এবং ৫ জন সংরক্ষিত আসনের সদস্য।

দলীয় নির্দেশ অমান্য করায় পরে তাদের আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করা হয়।

পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হামিদ মির গণমাধ্যমকে বলেন, পিএমএল-এন'র নেতারা জয়ের ব্যাপারে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তারা বুঝতেই পারেনি যে ভোটাররা তাদের মনোনীত প্রার্থীদের মেনে নিতে পারেনি।

কলামিস্ট নাদিম ফারুক পারাচা বলেন, 'ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি, ঝুঁকিপূর্ণ রাজনৈতিক জুয়া ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' পিএমএল-এর পরাজয়ের পেছনে মূল কারণ হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu election sees spontaneous turnout of voters

Ducsu election is being held at eight centres of the campus with nearly 40,000 registered voters and 471 candidates vying for 28 central posts.

2h ago