ঢাকায় লিভাইস

লিভাইস
ঢাকার বনানীতে লিভাইস স্টোর। ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

নাইকি ও পুমার পর দেশি শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ঢাকায় স্টোর খুলেছে মার্কিন পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোং।

লিভাইস বিশ্বের অন্যতম বড় ফ্যাশন হাউস। এর পণ্যগুলো প্রায় তিন হাজার দোকানের মাধ্যমে ১১০'র বেশি দেশে বিক্রি হয়।

আমদানি করা ডেনিম জিনস, টি-শার্ট, পোলো শার্ট এবং ছেলে-মেয়েদের ফরমাল ও সাধারণ শার্টের জগতে এ দেশের মধ্যম আয়ের মানুষদের আকৃষ্ট করতে গত ১ এপ্রিল বনানী ১১ নম্বর রোডে দুই হাজার ২৭০ বর্গফুটের দোকানটি চালু হয়।

গত ১৭ এপ্রিল পিআর নিউজওয়্যার এক বিবৃতিতে জানায়, চট্টগ্রামে আরেকটি স্টোর খোলার পরিকল্পনা নিয়ে এশিয়ার বড় বাজারগুলোয় লিভাইস তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখবে।

লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোং দক্ষিণ এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিশা জৈন বলেন, দ্রুত নগরায়নের মধ্য দিয়ে যাওয়া গতিশীল বাজারগুলোই লিভাইসর মূল লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে ১৬ কোটির বেশি মানুষ। এখানে খুচরা ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ অনেক।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবিএলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শিগগিরই ধানমন্ডি ও চট্টগ্রামে লিভাইসর স্টোর খোলার পরিকল্পনা আছে।

'ভালো সাড়া পাচ্ছি,' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দেশের অর্থনীতি বাড়ছে। ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতাও বাড়ছে। তারা ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে সক্ষম।'

বাংলাদেশে বার্ষিক পোশাক বিক্রির পরিমাণ আনুমানিক ১৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

দেশের মানুষের আয় বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর উপস্থিতি বাড়ছে।

২০২২ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ৪৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, করোনা মহামারির আগের দশকে বাংলাদেশের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ছয় দশমিক ছয় শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশে থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি মানুষের কেনাকাটার ওপর প্রভাব ফেলছে। ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতার সঙ্গে জ্বালানি ও আমদানি করা পণ্যের ঘাটতি বিনিয়োগকারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার ও আর্থিক খাতের নীতি সমন্বয় করা হলে মধ্যমেয়াদে প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলেও আশা করছে বিশ্বব্যাংক।

Comments

The Daily Star  | English

The fakir’s cry should haunt us, and the state

Bangladesh faces a choice: Defend law and pluralism, or surrender to fear and bigotry

1h ago