রাজধানীতে বাসভাড়া বেড়েছে ১৬.২৭ শতাংশ, নেওয়া হচ্ছে ২৫-৪০ শতাংশ

রাজধানীতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ছবি: সুমন আলী

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে কর্মরত মো. জাহিদ লাব্বাইক বাসে ফার্মগেট থেকে শ্যামলী যাচ্ছিলেন। গতকাল শনিবারের আগ পর্যন্ত ভাড়া দিয়েছেন ১৫ টাকা। আজ দিতে হয়েছে ২০ টাকা। তার কাছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভাড়া বেশি নেওয়া হয়েছে।

মৌচাক থেকে একই বাসে গাবতলী যাচ্ছিলেন লিপি আক্তার। তার কাছে ভাড়া নেওয়া হয়েছে ৩৫ টাকা। তিনি ২ দিন আগে ভাড়া দিয়েছেন ২৫ টাকা। সে হিসেবে ৪০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেওয়া হয়েছে।

বাসে চড়ে ফার্মগেট, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, সাইন্সল্যাবে, শাহবাগ, কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে যাত্রীদের কাছে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বাড়তি ভাড়ার নতুন কোনো তালিকাও যাত্রীদের দেখানো হচ্ছে না।

গতকাল শনিবার রাতে বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে বাসভাড়া ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।

আমিনবাজার থেকে আজ সকালে কারওয়ান বাজারে আসেন মো. শিপন। তিনি বলেন, 'যাত্রীরা যেখানেই নামছে না কেন সবার কাছে আগের ভাড়ার চেয়ে থেকে ৫-১০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। গতকাল সরকার যে ভাড়া নির্ধারণ করেছে সে অনুযায়ী কোনো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এমনকি ভাড়া পুনর্নির্ধানের পর কোথায় কত টাকা বাড়লও তার কোনো হিসেবেও বাসের সুপারভাইজারের কাছে নেই। যার কাছে যেমন পারছে ভাড়া নিচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'সকালে দেখেছি বাসে অনেক ঝামেলা হয়েছে। যাত্রীরা বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিচ্ছে।'

মো. জাহিদ বলেন, 'বাসের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পারা যায় না। তারা ব্যবহার খারাপ করে। বাধ্য হয়ে যা ভাড়া চায় তাই দিতে হচ্ছে। এসব তদারকির কেউ নেই।'

লিপি আক্তার বলেন, 'বাসের লোকজন ভাড়া নিয়ে খুব বাজে ব্যবহার করে। তাই যা ভাড়া চায় তাই দেই। কিছু করার নেই।'

দিশারী পরিবহনের যাত্রী অন্তরা পারভীন বলেন, 'আগে যেখানে ২০ টাকা ভাড়া দিতাম সেখানে আজকে ২৫ টাকা নিয়েছে। সুপারভাইজার যা বলে তাই দিতে হচ্ছে। না দিলে ঝগড়া শুরু করে দেয়।'

লাব্বাইক পরিবহনের সুপারভাইজার রাজু বলেন, 'আমরা প্রতি চেকে ৫ টাকা করে বেশি নিচ্ছি। আমাকে এভাবেই ভাড়া কাটতে বলা হয়েছে। আমার করার কিছু নেই।'

গাবতলী থেকে গুলিস্তান রুটে চলা ৮ নম্বর বাসের সুপারভাইজার হেলাল জানান, তারা ৫-১০ টাকা বেশি নিচ্ছেন। এভাবেই তাদেরকে ভাড়া কাটতে বলা হয়েছে। নতুন ভাড়া অনুযায়ী কত আসে সে হিসেব তার জানা নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Locals take it upon themselves to repair road

On Saturday, residents of the two villages began the work to turn the earthen road to a brick road

1h ago