এলএনজির দাম কমায় স্পট মার্কেটে আগ্রহী বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ

এলএনজি, স্পট মার্কেট, দক্ষিণ এশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান,
এলএনজি কার্গো। ছবি: সংগৃহীত

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পর্যায়ে নেমে যাওয়ায় স্পট মার্কেটে আগ্রহ দেখাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো।

অয়েলপ্রাইসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশীয় দেশ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সাম্প্রতিক সপ্তাহে স্পট এলএনজি মার্কেটে আগ্রহ দেখিয়েছে। কারণ, বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম ৭০ শতাংশের বেশি কমেছে। এর আগে, ২০২২ সালের আগস্টে এলএনজির দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে।

রয়টার্সের গ্লোবাল এনার্জি ট্রানজিশন কলামিস্ট গ্যাভিন মাগুয়ারের মতে, এলএনজি ক্রয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যাবর্তন চলতি বছর এই অঞ্চলে কয়লার উচ্চ ব্যবহার ও আমদানি আংশিক কমাতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়ায় আরও গ্যাসের চাহিদা ও চীনে চাহিদার প্রত্যাশিত গ্যাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলএনজি বাজার আরও চাঙা হতে পারে। কিন্তু, গ্রীষ্মে স্পট এলএনজি সরবরাহে ইউরোপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা তীব্র হতে পারে। ফলে, এলএনজির দাম বাড়বে। যা আর্থিক সংকটে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সরকার হয়তো বহন করতে পারবে না।

সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স বলেছে, গত সপ্তাহে এশিয়ার স্পট এলএনজির দাম আরও কমেছে। মার্চ ডেলিভারির জন্য প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটে (এমএমবিটিইউ) ৮.১ শতাংশ কমে প্রায় ১৭ ডলার হয়েছে। যেখানে এপ্রিল ডেলিভারির জন্য এলএনজি প্রতি এমএমবিটিইউতে আরও কম ১৬.৫০ ডলার।

রিস্টাড এনার্জির জ্যেষ্ঠ এলএনজি বিশ্লেষক কৌশল রমেশ এ মাসের শুরুতে রয়টার্সকে বলেন, ২০২১ সালের আগস্টের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে দাম পতনের ফলে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও ভারতের মতো দক্ষিণ এশিয়ার এলএনজি গ্রাহকরা স্পট মার্কেটে ফিরে আসতে আগ্রহী হচ্ছে। আমরা সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের আগ্রহ দেখেছি।

অয়েলপ্রাইস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পট এলএনজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমায় ভারত, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড এ বছরের মাঝামাঝিতে এলএনজি কার্গো কিনতে আগ্রহী হয়েছে।

ভারতের বৃহত্তম গ্যাস আমদানিকারক পেট্রোনেট গত মাসে বলেছিল, দাম কমে যাওয়ায় ভারতও এ বছর এলএনজি আমদানি বাড়ানোর আশা করছে।

ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ) এ সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতে ২০২২ সালে এলএনজি আমদানি ১৫.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, তবে এলএনজির উচ্চ মূল্যের কারণে মোট ব্যয় ৪৪.৫ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর বাংলাদেশের এলএনজি আমদানি ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং ২০২২ সালে পাকিস্তানের এলএনজি ব্যবহার ১৮.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। 

আইইইএফএ বলছে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর উচ্চ নির্ভরতা এবং আকাশছোঁয়া পণ্যের দামের কারণে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Tug-of-war over water lily continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June.

3h ago