‘দুএক দিনের মধ্যে চিনির বাজার স্বাভাবিক হবে’

safiquzzaman.jpg
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

আগামী দুএক দিনের মধ্যে চিনির বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা রিফাইনারি থেকে উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করছি। আমরা আজ অভিযান করছি, পাইকারি ও ডিলার পর্যায়ে যদি আমরা দেখি যে, চিনি আটকে রেখে এই কাজগুলো করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে আজকে আমরা কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি। মৌলভীবাজার বড় চিনির মোকাম, দুপুরে আমরা ওখানে মিটিং করবো। আগামীকাল আমরা সব পক্ষকে ডাকবো। আমরা আলোচনা করবো সমস্যাটা কোথায় হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মূল জায়গা আমরা অ্যাড্রেস করেছি, গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিয়েছি। আজকে বলে দিয়েছি, মিল থেকে সব চিনি ছেড়ে দিতে। মাঝখানে ডিলার ও পাইকারি পর্যায়ে যদি চিনি আটকে রেখে বাজার অস্থির করে দেওয়া হয়, তাহলে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব।

খুচরা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা কিন্তু ব্যবসায়ীদের প্রতিপক্ষ নই। আমরা যখন কোনো জায়গায় অভিযানে যাই, তারা দোকান বন্ধ করে চলে যায়। এখানে তো ভয়ের কোনো কিছু নেই। আমরা চাচ্ছি, আগে মোটিভেশনাল কাজগুলো করতে। কিন্তু যখন দেখি আপনার দোকানে চিনি বা তেল নেই কিন্তু গোডাউন ভর্তি তেল ও চিনি তখন বোঝা যাচ্ছে ব্যবসায়ী অসাধুপন্থা অবলম্বন করছে।

ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেক সময় মিডিয়া ট্রায়াল হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসায়ী মানেই অসাধু। এই কথাটা কিন্তু ঠিক নয়। ব্যবসায়ী নেতাদের দায়িত্ব আছে, দুচার জন যদি এ রকম কিছু করে থাকে...এটা আপনাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। আপনারা যদি দায়িত্ব নেন তাহলে আমাদের আসতে হবে না। আমরা চাই না কোথাও অভিযান করতে। কারণ অভিযান করে সব কিছু ঠিক করা যাবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। তার থেকে দরকার মোটিভেশনাল বিষয়।

সাধারণ ভোক্তাদের উদ্দেশে সফিকুজ্জামান বলেন, এসব ক্ষেত্রে ভোক্তাদের মধ্যে প্যানিক তৈরি হয় এবং তখন তারা প্যানিক বাই করে। অর্থাৎ চিনির দাম হয়তো আরও বেড়ে যাবে ভেবে তার লাগবে হয়তো মাসে ২ কেজি, সে ৫ কেজি কিনে ফেলে। তখন বাজার এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়। তখন দামটা আরও বেড়ে যায়।

চিনির যে ক্রাইসিস এটা আসলে মূল ক্রাইসিস না। আমরা এলসি (আমদানি ঋণপত্র) সেটেলমেন্ট অ্যানালাইসিস করেছি, পর্যাপ্ত পরিমাণ 'র' সুগার আমাদের দেশে এসেছে। সকালেও আমরা এস আলম, মেঘনা ও সিটি গ্রুপের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছে পর্যাপ্ত 'র' সুগার আছে। রিফাইন করতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সমস্যা, সে বিষয়টা আমরা অ্যাড্রেস করছি। এটা দুয়েক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ জন্য আমি অনুরোধ করবো, আপনারা প্যানিক বাই করে বাজার অস্থির করবেন না—বলেন সফিকুজ্জামান।

খুচরা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মঞ্জুর শাহরিয়ার বলেন, পাইকারি ব্যবাসায়ীদের কাছ থেকে চিনি কেনা এবং খুচরা ক্রেতার কাছে বিক্রির পাকা রশিদ না রাখলে দাম কে বাড়াচ্ছে ধরতে কষ্ট হয়। ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করবো আপনারা রশিদ রাখবেন।

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

10h ago