যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ। ১৯ এপ্রিল ২০২৫। ছবি: রয়টার্স

অভিবাসন, সরকারি চাকরি থেকে ছাঁটাই এবং ফিলিস্তিন ও ইউক্রেন নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে শনিবার ওয়াশিংটন ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।

আজ রোববার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণমাধ্যমের ফুটেজে দেখা গেছে, হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভকারীরা 'শ্রমিকের ন্যায্য ক্ষমতা থাকা উচিত', 'কোনো কিংশিপ নয়', 'ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করুন' ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

কিছু বিক্ষোভকারী অভিবাসীদের সমর্থনে স্লোগান দেন, যাদের ট্রাম্প প্রশাসন নির্বাসিত করেছে বা নির্বাসনের চেষ্টা করছে। তারা ফেডারেল সরকারের ছাঁটাই হওয়া ব্যক্তি ও ফান্ড বাতিল করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।

হোয়াইট হাউসের কাছে লাফায়েত স্কয়ারে সমাবেশে এক বিক্ষোভকারী বলেন, 'ট্রাম্প ও তার প্রশাসন যখন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাসন মেশিন ব্যবহার জোরদার করছে, তখন আমরা প্রতিবেশীদের রক্ষায় নেটওয়ার্ক ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সংগঠিত করতে যাচ্ছি।'

অনেকে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে 'ফ্রি প্যালেস্টাইন' স্লোগান দেন। তারা গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যায় নিহত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

কিছু বিক্ষোভকারী ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে, ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের বিরোধিতায় ওয়াশিংটনকে আরও দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর থেকে ট্রাম্প ও তার বিলিয়নিয়ার মিত্র ইলন মাস্ক দুই লাখের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন।

প্রশাসন অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীকে আটক করেছে এবং জলবায়ু উদ্যোগ ও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফেডারেল তহবিল বন্ধের হুমকি দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব নীতির নিন্দা জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন মনুমেন্টের কাছে বিক্ষোভকারীদের ব্যানারে লেখা ছিল, 'ঘৃণা কখনোই কোনো জাতিকে মহান করেনি' এবং 'সবার সমান অধিকার মানে আপনার অধিকার কম নয়'।

নিউইয়র্ক সিটি, শিকাগোসহ আরও কয়েক ডজন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশব্যাপী এটি দ্বিতীয় বিক্ষোভ।

Comments

The Daily Star  | English

‘Polls delay risks return of autocracy’

Says Khandaker Mosharraf after meeting with Yunus; reiterates demand for election by Dec

1h ago