চায়ে চিনি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ার ৫ উপায়

ছবি: সংগৃহীত

সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে এক কাপ ধূমায়িত চা কিংবা বিকেলের আড্ডায় গরম গরম এক কাপ চা না হলে যেন চলেই না। দিনে কয়েক দফায় চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আমরা এরসঙ্গে অনেকটা বাড়তি চিনি খেয়ে ফেলি। অতিরিক্ত চিনি স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ বা স্ট্রোকের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাই অনেকেই ছাড়তে চান চায়ে চিনি খাওয়ার অভ্যাস। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠে না।

যারা অনেকদিন ধরেই চায়ে চিনি বাদ দিতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না, তাদের জন্য আজকে থাকল ৫টি টিপস।

হঠাৎ করে 'না' নয়

যদি মনস্থির করেন যে চায়ে বাড়তি চিনি খাবেন না, তাহলে হঠাৎ করে সেটি করতে চাইলে সম্ভব না হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বরং চিনি খাওয়া কমাতে হবে ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে। আগে হয়তো এক কাপ চায়ে দুই চামচ চিনি খেতেন, এখন থেকে এক চামচ চিনি দেওয়ার চেষ্টা করুন। একবার এক চামচ চায়ে অভ্যস্ত হয়ে গেলে দেখবেন, বেশি চিনি দিলে আর সেই চা খেতে পারছেন না। এভাবে আস্তে আস্তে আরও কমিয়ে একেবারে বাদ দিতে পারবেন চিনি।

নিজেকে প্রেরণা দিন

প্রতিদিন যদি দুই কাপ করে চা খান এবং চায়ে যদি দুই চামচ করে চিনি দেওয়া হয়, তবে সপ্তাহে ১৪ কাপ চা এবং ২৮ চা চামচ চিনি আপনার শরীরে যাচ্ছে। এবার একটি বোলে ২৮ চা চামচ নিলে দেখতে পাওয়া যাবে শুধু এক সপ্তাহে কতখানি চিনি খাওয়া হয় শুধু চায়ের সঙ্গেই। ছোট্ট এই পরীক্ষা চিনি খাওয়া ইচ্ছে অনেকটাই কমিয়ে দেবে।

পরিমিত চা পানের অভ্যাস

অতিরিক্ত চিনির মতো অতিরিক্ত ক্যাফেইনও শরীরের জন্য ভালো নয়। চায়ে চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনতে চাইলে চা পানের অভ্যাসও পরিমিত করতে হবে।

চিনির পরিপূরক ব্যবহার

চিনির বদলে সামান্য গুড় বা মধু দিয়েও চা পান করা যেতে পারে। গুড়, তালমিশ্রি বা মধু তুলনামূলকভাবে প্রাকৃতিক, আর সাদা চিনির মতো ততটা স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।

এ ছাড়া, চায়ে লেবু, মাল্টা, আদা, গোলমরিচ বা লবঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে। মশলার ঘ্রাণ আর স্বাদের জন্য চিনি ছাড়া চা পান করা যায় সহজেই। দুধ চায়ে চিনি বাদ দেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। দুধের কারণে চা এমনিতেই মিষ্টি লাগে। ফলে চায়ের তেতো ভাবটা তেমন থাকে না।

হারবাল চা

তুলসী চা, পুদিনা চা, অর্জুন চাসহ বাজারে এখন বেশ কয়েক ধরনের হারবাল চা পাওয়া যায়। সেই চা পাতারগুলোর সুঘ্রাণ চিনির আকর্ষণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া গ্রিন টিও খেতে পারেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Türk concerned over changes in Bangladesh's legislation banning activities of parties

"This [the changes in legislation] unduly restricts the freedoms of association, expression, and assembly," says the UN high commissioner for human rights

41m ago