নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বাবুর্চির মৃত্যু

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ রেস্তোরাঁর বাবুর্চি বিল্লাল হোসেন (৪৫) মারা গেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সাঈদের বরাত দিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বিল্লাল হোসেন প্রিন্স রেস্তোরাঁর বাবুর্চি ছিলেন।

ওসি জানান, মাইক্রোবাসে মোটসাইকেলের ধাক্কার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজের নেতৃত্বে একদল লোক রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভা যুবলীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

হোটেলটির মালিক নাদিম সাউদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিকেলে ঘটনার সময় আমি মসজিদে ছিলাম৷ কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ২ পক্ষের মারামারির সময় গুলিতে আমার এক বাবুর্চি আহত হয়েছে। প্রথমে তাকে রূপগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল৷ সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।'

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, 'ওই ব্যক্তির পেটের বাম পাশে গুলি লাগে।'

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানিয়েছেন, বিল্লালের স্ত্রী সাজেদা বেগম ২১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার এজাহারনামীয় ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গ্রেপ্তার ২ জন হলেন বরপা এলাকার মামুন (২৩) ও একই এলাকার অপু সাউদ (৩০)। তারা ২ জনই রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজির আহমেদ রিয়াজের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

Comments

The Daily Star  | English
Gunfight

Local BNP leader shot dead in Dhaka’s Badda

When Kamrul was sitting on a chair on the roadside and talking with 2-3 people, two assailants on foot came from behind and shot him before fleeing the scene

3h ago