আইভীকে বহন করা পুলিশের গাড়িতে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ

গ্রেপ্তারের পর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে।
পথে তাকে বহন করা পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে৷ ছোড়া হয় ইটপাটকেল। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটে।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের গ্রিনলেজ ব্যাংকের (সাবেক) সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ইট-পাটকেলের আঘাতে দুইজন পুলিশ সদস্যসহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ সদর মডেল থানার এক পুলিশ সদস্যকে গুরুতর আহত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের দিকে নিতে দেখা যায়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিরউদ্দিন আহামদ প্রাথমিকভাবে সাংবাদিকদের দুই পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার কথা জানান।
মেয়র আইভীকে বহন করা গাড়িটি ছিল সামনের সারিতে এবং পেছনে তার সমর্থকরা মুক্তির দাবিতে মিছিল করছিলেন।
মিছিলটি পূর্বতন গ্রিনলেজ ব্যাংকের মোড় পার হওয়ার পরপরই আমলাপাড়া স্বর্ণপট্টির প্রবেশমুখ থেকে একদল যুবক তাদের উদ্দেশে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।
এ সময় দুইটি হাতবোমা (ককটেল) বিস্ফোরণ হতে দেখতে পান দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা।
পরে পুলিশ গাড়ির গতি বাড়িয়ে দ্রুত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দিকে চলে যায়।
হামলাকারীদের দলটি পরে শহরে ঝটিকা মিছিল করে। এ সময় তারা আওয়ামী লীগ ও আইভীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।
আইভীর সমর্থকদের অভিযোগ, এই হামলার জন্য দায়ী বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা।
পরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ফটকে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, তারা ছিলেন সামনের দিকের গাড়িতে৷ পেছনের দিকের হামলার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন৷ 'বিস্তারিত পরে জানাবো হবে', যোগ করেন তিনি।
এর আগে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সকাল পৌনে ছয়টার দিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতভর অভিযানের পর দেওভোগের বাসা থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।
আইভী জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনায় একাধিক থানায় দায়ের করা অন্তত পাঁচটি মামলার আসামি।
নাসিকের টানা তিনবারের নির্বাচিত মেয়র আইভী জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন।
Comments