নির্বাচনে যেকোনো অনিয়ম রোধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির

এ. এম. এম. নাসির উদ্দীন। ফাইল ছবি

নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অনিয়ম রোধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'ভোটের দিন যেন কেউ আপনার অধিকার হরণ করতে না পারে, কেউ যাতে ভোটকেন্দ্র দখল করতে না পারে, ভোটের বাক্স কেড়ে নিতে না পারে, অযাচিতভাবে প্রভাবিত করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।'

আজ সোমবার সকালে ঢাকার সাভার উপজেলার উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত 'ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সাধারণ মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে উল্লেখ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি চলাকালীন এতে সবার অংশগ্রহণ এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ যাত্রায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, '৫ আগস্টের বিপ্লব আমাদের একটা বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে। নানাবিধ সুযোগের মধ্যে এই সুযোগটা হচ্ছে ভোটের অধিকার আদায়ের সুযোগ।'

ভোটের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠা হয়নি উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'এই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করার একটা সুযোগ পেয়েছি। এর প্রথম ধাপ হচ্ছে সুষ্ঠু এবং সঠিক ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা।'

তিনি বলেন, সঠিক ভোটার তালিকা না করতে পারলে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হবে।

সিইসি বলেন, 'যেদিন মানুষ নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে ভয়-ভীতিহীনভাবে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে, সেদিন আমি মনে করি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।'

'আমরা সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেমেছি এবং সবাইকে সাথে নিয়েই আমাদের এই কাজটা করতে হবে। আমাদের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়', যোগ করেন তিনি।

সাধারণ অনেক মানুষ ভোটার হলেও অনেকেই এখনো ভোট দিতে পারেনি জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের এই আক্ষেপ আমরা ঘোচাতে চাই, তাদেরকে ভোটের ব্যবস্থা করে দিতে চাই। সুতরাং আমাদের একার পক্ষে এটি সম্ভব হবে না।

নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অনিয়ম রোধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান সিইসি।

তিনি বলেন, 'সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে আমাদের সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে। আমরা কোনো অনিয়ম চাই না, ইলেকশনের নামে কোনো প্রহসন চাই না।

সিইসি বলেন, ইলেকশন বলতে যা বোঝায় আমরা সেটি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

তিনি বলেন, আমাদের তরুণ জেনারেশন অনেকে ভোটার হয়েছে কিন্তু ভোটটা দিতে পারেনি। তারা রক্ত দিল, আহত হলো, তারা যেন ভোটটা দিতে পারে জাতির কাছে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ওয়াদাবদ্ধ।

'ইলেকশন কমিশন এবং আমরা সম্মিলিত ভাবে তাদের বঞ্চনাটা বোঝাতে চাই, তারা এতদিন বঞ্চিত হয়েছে ভোটের অধিকার থেকে, এখন এই সুযোগটা এসেছে আমরা এই সুযোগটা নেব এবং এই সুযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন। শুধু ভোটার হওয়াটা লক্ষ্য নয়, ভোটার হওয়াটা শুরু হলো, ভোটটা দেওয়া পর্যন্ত, কেন্দ্রে যেন যায়, এবং কেন্দ্রে যদি কেউ অযাচিত ভাবে হস্তক্ষেপ করে সেটি ঠেকানোর জন্য, যে ধরনের সহযোগিতা দরকার সেটি করার জন্য আমরা সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করি,' বলেন সিইসি।

Comments

The Daily Star  | English

Foreign debt repayment surges 25%

Bangladesh’s repayment of foreign loans surged in the first 10 months while the inflow of loans from bilateral and multilateral lenders continued to fall, according to provisional data from the Economic Relations Division (ERD) released yesterday.

3h ago