আমি পরিচিত মুখ, হয়ত এ কারণেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: জেনারেল আজিজ

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের দুর্নীতি
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

বড় ধরনের দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার পর তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর এ বিষয়ে জেনারেল (অব.) আজিজ আজ মঙ্গলবার বিকেলে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানলেন কখন?

জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ: আজ সকাল পৌনে ১০টায় ঘুম থেকে উঠে দেখি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ এসেছে। একটি কলও আসে। রিসিভ করলে জানায়, হোয়াটসঅ্যাপে একটা লিংক পাঠিয়েছে আমাকে। আমি সেটা দেখে অবাক হয়ে যাই।

৩ জুন আমার অবসরের তিন বছর হবে। এই সময়ে এসে নিষেধাজ্ঞা কেন? আমি অবসর জীবনযাপন করছি। রাজনীতি, ব্যবসা কোনো কিছুর সঙ্গে নেই।

কেন আপনার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা এলো বলে মনে করছেন?

জেনারেল (অব.) আজিজ: আল জাজিরার যে ভিডিওটা ২০২১ সালে প্রচার হলো, নিষেধাজ্ঞা দিলে তো তখনই দিতে পারত। তখন তো আলোচনা ছিল আমাকে নিয়ে। এখন কেন?

আমি চার বছর বিজিবির প্রধান ছিলাম, তিন বছর সেনাপ্রধান ছিলাম। যখন আল জাজিরার নিউজ হয়, তখন আমি যুক্তরাষ্ট্রেই ছিলাম। ভিডিও প্রকাশের তিন দিন পর পেন্টাগনে মিটিং ছিল। সে সময় নয়টি এনজিও আমার সঙ্গে প্রোগ্রাম না করার অনুরোধ জানিয়েছিল। তবুও শিডিউলের সব প্রোগ্রামই হয়েছে। আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। অনেক সম্মান পেয়েছিলাম সেবার।

এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন?

জেনারেল (অব.) আজিজ: এই নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না। গেলাম না যুক্তরাষ্ট্রে! সেখানে আমার কিছু নেই যে যেতে-ই হবে। ছেলেও সেখানে পড়াশোনা করে না যে তাকে যেতে-ই হবে। তারা কী করল, সেটা আমার বিষয় না। আমার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

তবে, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে করেছে। তবে উদ্দেশ্যটা আমি বুঝতে পারছি না।

কিছু একটা উদ্দেশ্য তো আছেই। এমনও হতে পারে—কাউকে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে; পরিচিত মুখ কে আছে; ওই যে আল জাজিরায় দেখেছে; আজিজ পরিচিত মুখ, হয়ত এ কারণেই দিয়েছে।


 

Comments

The Daily Star  | English

Hopes run high as DU goes to vote today

The much-anticipated Ducsu and hall union elections are set to be held today after a six-year pause, bringing renewed hope for campus democracy.

3h ago