আগামী বছরই হয়তো নির্বাচিত সরকার দেখবো: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

‘মানুষের টাকা ব্যাংকে, কিন্তু ব্যাংকের সব টাকা বাইরে চলে গেছে’
ছবি: স্টার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, 'আমাদের এই সরকার খুবই স্বল্পকালীন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আগামী বছরই আমরা হয়তো একটি রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেখবো। জানি না কী হবে।'

এর আগে তিনি বলেন, 'আমরা কবে ধনী দেশগুলোকে পেরিয়ে আরও ধনী হবো, সেরকম কিছু আমরা সবাই মিলে করতে পারি।'

তিনি আরও বলেন, 'কিন্তু কোনো দেশ কখনো হঠাৎ করে উন্নত হয়নি।'

আজ শনিবার গুলশানের হোটেল লেকশোরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) চার দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, 'মানুষের টাকা ব্যাংকে আছে, কিন্তু ব্যাংকের সব টাকা বাইরে চলে গেছে। সেই টাকা তো মানুষের। এখন ব্যাংকগুলোর এই মানুষের টাকার জন্য রিসোর্স দরকার।'

তিনি বলেন, 'বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যালেন্স শিটে এখন দেখা যাচ্ছে যে অনেক টাকা আছে, কিন্তু আসলে দেশের ভেতরে কোনো রিসোর্স নেই। তাদের ওয়েজ দিতে হবে। ৩০ হাজার, ৪০ হাজার বা এক লাখ শ্রমিককে একদিনে বিদায় দেওয়া যায় না। সেটা অনেক বড় অসন্তোষের সৃষ্টি করবে, যেটা এখন দেখা যাচ্ছে।'

'তাহলে কোথা থেকে এই টাকা আসবে? তার মধ্যে যদি এখন বলা হয় যে আমাদেরকে আরও ইক্যুয়াল সোসাইটির দিকে যেতে হবে—যার অর্থ জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবসম্পদ তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও রিসোর্স বিল্ড করতে হবে ইত্যাদি,' যোগ করেন তিনি।

তার মতে, 'মার্কেট ইকোনমিকে ইক্যুয়াল করতে হলে অনেকে এখন বলে, অর্গানাইজেশনাল ডেমোক্রেসি লাগবে। প্রান্তিক কৃষক বলি বা শ্রমিকের কথা বলি, তাদের অর্গানাইজেশনাল স্ট্রেন্থ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের চরের জমি দখল হয়ে যায়। হাওর অঞ্চলে অনেক জলাভূমি পরে আছে সেগুলোর ব্যবস্থাপনা দরকার। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীরা এগুলো দখল করে নিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে এটা যদি শক্তিশালী থাকত—অর্গানাইজেশনাল ডেমোক্রেসি, গ্রাসরুট ডেমোক্রেসি থাকত, তাহলে এখান থেকে অনেক রিসোর্স আসতো। এটা যদি গরীবদের কাছে যেতো, তাহলে অনেক লাভ হতো।'

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমাদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগেুলোকে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রতিযোগিতামূলক হওয়া মানে শুধু চিপ লেবার, লো-টেকনোলজি না। এর বাইরে টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন এবং হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট দরকার। সেখানে ভূমিকা রাখবে শিক্ষা। দেশের শিক্ষা যে অবস্থায় আছে, এটা দিয়ে, এই মানব সম্পদ দিয়ে একদমই হবে। পূর্ব এশিয়ায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নেয়, আর প্রায় ৭০ শতাংশ ভোকেশনাল শিক্ষার দিকে যায়। আমাদের দেশে ২০ শতাংশ যায় ভোকেশনাল শিক্ষায়। তাদেরকে আবার যারা পড়াবে, তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ শিক্ষকের পদ খালি, আছে মাত্র ২০ শতাংশ। অন্যদিকে জেনারেল এডুকেশনে প্রত্যেক জেলায় জেলায় বড় বড় ইনফ্রাস্ট্রাকচার হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের।'

Comments

The Daily Star  | English

NBR activities disrupted as officials continue work abstention

This marks the ninth day of protests since the interim government issued the ordinance on May 12

1h ago