‘অসাধু ব্যবসায়ীরা সেভাবে দাম বাড়াতে পারেনি, অনেক পণ্যের মূল্য কিছু কমেছে’

বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম সেভাবে বাড়াতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পণ্যের মূল্য অসাধু ব্যবসায়ীরা সেভাবে বাড়াতে পারেনি, অনেক পণ্যের মূল্য কিছু কমেছে। এতে প্রমাণিত হয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা...কারণ দেশে তো কোনো পণ্যের সংকট নেই! ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পণ্যের সংকট আছে।'

তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে তো কখনো কোনো পণ্যের সংকট হয়নি। করোনা কালেও হয়নি, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও হয়নি কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা সব সময় সুযোগ খোঁজে। যেটি অনভিপ্রেত, দুঃখজনক। আমি মনে করি, এই অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে পত্র-পত্রিকায় ও টেলিভিশনে রিপোর্ট হয় তাহলেও সহায়ক হবে।'

এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'ভারতে ফ্যাক্ট চেকের জন্য প্রেস ইনস্টিটিউটকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোন সংবাদটা সঠিক, কোনটা সঠিক নয়—সরকারবিরোধী, সেটি তারা চেক করবে এবং সেই ধরনের সংবাদ যদি কেউ প্রচার করে তাহলে সেই দায়-দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে। যখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হবে এই সংবাদটি সঠিক নয়, সেটি তাদের নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে হবে। সরিয়ে না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

'আমাদের দেশে এই রকম কোনো ব্যবস্থা আমরা নেইনি। তার মানে এই, আমাদের দেশে গণমাধ্যম পার্শ্ববর্তী ভারতের চেয়েও অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করে, স্বাধীনতা ভোগ করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণে...আমি জানি না কী কারণে, সমালোচকরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণেই বিবিসি কার্যালয়ে কয়েক দিন ধরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। আমাদের কোনো পত্রিকা বা টেলিভিশনে ট্যাক্স অফিস যায়নি এখনো। প্রথম আলোতেও যায়নি,' বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রথম আলোর সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট নিয়ে দেশে হৈ চৈ বেধেছে এবং এই রিপোর্টটা অবশ্যই আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে খাটো করেছে। সেই কারণেই প্রথম আলো সরিয়ে নিয়েছে কিন্তু সরিয়ে নিলেও তো সরে না। সেটা নিয়ে দেশের নানা জায়গায় মানববন্ধন হয়েছে। সব সাংবাদিক সংগঠন এই প্রথমবারের মতো একটি রিপোর্টের বিরুদ্ধে গিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তার মানে এখানে ভুল হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য প্রথম আলো এখনো ভুল স্বীকার করেনি।'

প্রথম আলোর পক্ষেও অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন জানানো হলে হাছান মাহমুদ বলেন, 'তারা সবাই চিহ্নিত মানুষজন এবং কিছু বিবৃতি ক্রয়ও করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Hopes run high as DU goes to vote today

The much-anticipated Ducsu and hall union elections are set to be held today after a six-year pause, bringing renewed hope for campus democracy.

5h ago