চার বছর পর বন্দরনগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবেন চট্টগ্রামবাসী

নবনির্মিত শহীদ মিনারে পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। ছবি: অরুণ বিকাশ দে/স্টার

চার বছর অস্থায়ী এক শহীদ মিনার ব্যবহার করার পর এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে গণপূর্ত বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় পুরাতন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি ভেঙে একই স্থানে একটি নতুন মিনার তৈরির কাজ শুরু হয়। এই কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হলেও নতুন শহীদ মিনারের নকশা নিয়ে আপত্তি তুলেন চট্টগ্রামের বেশ কজন সাংস্কৃতিক সংগঠক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

তাদের অভিযোগ ছিল, চারপাশে কংক্রিটের কাঠামোর জন্য রাস্তা থেকে ঠিকমতো দৃশ্যমান না এই শহীদ মিনার। পাশাপাশি র‍্যালি নিয়ে প্রবেশ করার মতো যথেষ্ট প্রশস্ত না এর সিঁড়িগুলো। এই সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে এই শহীদ মিনারের নকশায় সংস্কার আনার দাবি জানিয়ে গতবছর আর সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেনি চট্টগ্রামের নাগরিকরা।

তবে এসব দাবি পূরণ না হলেও এবার নবনির্মিত এই স্থাপনাতেই শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন।

মঙ্গলবার শহীদ মিনার পরিদর্শনকালে এই ঘোষণা দিয়ে তিনি জানান, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণটি যেন রাস্তা থেকে ঠিকমতো দেখা যায়, সেটি বিবেচনা করে এর নকশা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

'আমি গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা নাগরিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের দাবি অনুসারে প্রাঙ্গণের নকশা পুনর্নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন,' বলেন তিনি।

২০২১ সালে পুরাতন শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলার পর এতদিন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল মাঠে নির্মিত একটি অস্থায়ী শহীদ মিনারে কেন্দ্রীয়ভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এসেছে নগরবাসীরা।

২০১৮ সালে শহীদ মিনার এলাকায় একটি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রকল্প শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ।  

প্রকল্পের আওতায় পুরাতন মুসলিম ইনস্টিটিউট, পাবলিক লাইব্রেরি এবং শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হয়। মুসলিম ইনস্টিটিউটের জায়গায় একটি আট তলা ভবন এবং পুরাতন পাবলিক লাইব্রেরির জায়গায় একটি ১৫ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়।

এই প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৮১ দশমিক তিন নয় কোটি টাকা। 

 

Comments

The Daily Star  | English
RMG violence

Violence in Bangladesh’s RMG sector: Disposable lives, dispensable labour

Can we imagine and construct a political system that refuses to subordinate human dignity to the demands of global accumulation?

23h ago