রাশিয়ার স্কুলে বন্দুকধারীর হামলা, ৭ শিশুসহ নিহত ১৩

স্কুলটির পাশে পুলিশ ও জরুরি পরিষেবার সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার একটি স্কুলে এক বন্দুকধারীর গুলিতে ৭ শিশুসহ ১৩ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার এ হামলার পর হামলাকারী আত্মহত্যা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্কুলটি মস্কো থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দূরে ইঝেভস্ক অঞ্চলে অবস্থিত। হামলাকারীর পরনে নাৎসি বাহিনীর 'স্বস্তিকা' চিহ্ন সম্বলিত টি-শার্ট ছিল। নিহতদের মধ্যে স্কুলটির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও নিরাপত্তাকর্মী আছেন।

রাশিয়ার তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, হামলাকারীর নাম আর্তেম কাজানসেভ। তার বয়স ৩০ এর ঘরে। তবে হামলার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।

তদন্ত কমিটি আরও জানিয়েছে, বন্দুকধারী বালাক্লাভা (স্কিইংয়ের জন্য ব্যবহৃত মুখোশ) পরে ছিলেন। কমিটি ওই ঘটনার একটি ছোট ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, বন্দুকধারী শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে পড়ে আছেন। তার চারপাশে এলোমেলো অবস্থায় আসবাবপত্র ও কাগজ ছড়ানো রয়েছে।

এক বিবৃতিতে কমিটি বলেছে, 'বর্তমানে তদন্তকারীরা হামলাকারীর বাসভবনে তল্লাশি চালাচ্ছেন এবং হামলাকারীর পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। নিও-ফ্যাসিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং নাৎসি মতাদর্শের প্রতি তার আগ্রহ ছিল কি না জানার চেষ্টা চলছে।'  

রুশ সংবাদ মাধ্যম তাস তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামলাকারীর কাছে ২টি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার একাধিক স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

২০২১ সালের মে মাসে এক কিশোর কাজান শহরে ৭ শিশু ও ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। ২০২২ সালের এপ্রিলে একজন সশস্ত্র ব্যক্তি উলিয়ানোভস্ক অঞ্চলের এক কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ২ শিশু ও ১ শিক্ষককে হত্যা করার পর আত্মহত্যা করেন।

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

10h ago