হামাসের হামলা পরিকল্পনায় ইরান জড়িত: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

হামাস ইসরায়েল যুদ্ধ
এ বছরের জুনে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়েহ ও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তেহরানে বৈঠক করেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইরানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের হামলা পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করেছে ও অনুমোদন দিয়েছে।

আজ সোমবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল আরাবিয়া।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইরানের সবুজ সংকেতের পর হামাসের হামলা শুরু হয় বলে জানিয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ ও  হামাসের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।

রোববার জাতিসংঘে ইরানের মিশন দাবি করেছে, হামাসের হামলার সঙ্গে তেহরানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

রোববার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী (আইআরজিসি) হামাসের হামলা-পরিকল্পনা ও অনুমোদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

প্রতিবেদন মতে, আইআরজিসির কর্মকর্তারা আগস্ট থেকে হামাসের সঙ্গে কাজ করে আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে এই সমন্বিত ও জটিল আক্রমণ পরিকল্পনা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শনিবার হামাসের হামলা ১৯৭৩ সালের ইওম কিপুর যুদ্ধের পর ইসরায়েলের সীমান্তে সবচেয়ে বড় আকারের হামলা। ছুটির দিনে আসা এই অতর্কিত হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের দীর্ঘদিনের সংঘাত চরম শিখরে পৌঁছেছে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। দুই পক্ষ মিলিয়ে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, বৈরুতে বেশ কয়েকটি বৈঠকের মাধ্যমে হামাসের অভিযানের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হয়। আইআরজিসির কর্মকর্তারা ইরান-সমর্থিত চারটি সশস্ত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কাজ করেন, যার মধ্যে গাজা অঞ্চলের শাসক হামাস ও লেবাননের শিয়া-ভিত্তিক হিজবুল্লাহ বাহিনী অন্যতম।

রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, ইরানের এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ তারা পাননি। তবে তিনি এসব সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে ইরানের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেন।

হামাসের কর্মকর্তা মাহমুদ মিরদাউইর সঙ্গে সব বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি দাবি করেন হামাস স্বাধীনভাবে এসব হামলার পরিকল্পনা করেছে। তিনি বলেন, এগুলো ছিল, 'ফিলিস্তিন ও হামাসের সিদ্ধান্ত।'

হামাস ও হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ সদস্য ও ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানায়, আইআরজিসির বৃহত্তর সীমান্ত কৌশলে বহুমুখী হামলার কথা বলা হয়েছিল। যার উদ্দেশ্য, ইসরায়েলকে নানা দিক থেকে ঘিরে ফেলা। এই পরিকল্পনায় লেবানন, ইসরায়েলের উত্তর, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনিদের নিজেদের রক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল এ অঞ্চলের জন্য একটি বিপদের উৎস।

ইরান, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং ১৯৭৯ সালের ইসলামিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটির পররাষ্ট্রনীতির একটি মূলনীতি হল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন জানানো।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

4h ago