কেন পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে পারেননি মেসি-নেইমার-এমবাপে?

ছবি: রয়টার্স

বার্সেলোনা ছেড়ে ২০২১ সালে লিওনেল মেসি যোগ দিয়েছিলেন পিএসজিতে। ফরাসি লিগ ওয়ানের ক্লাবটিতে আগে থেকেই ছিলেন নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপে। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের আগমনে তাই দলটির আক্রমণভাগে গড়ে উঠেছিল দুর্ধর্ষ ত্রয়ী। কিন্তু কাগজে-কলমে যতটা ভীতি তারা ছড়াতে পেরেছিলেন, মাঠে সেটার ছাপ ততটা পারেনি। ফলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা অধরাই থেকে গেছে প্যারিসিয়ানদের।

গত এক দশকের বেশি সময় ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে পিএসজি। কাতারি মালিকানাধীন দলটি এই সময়ে খরচ করেছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। নামীদামী সব তারকাকে স্কোয়াডে নিয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া পর্যায়ে সাফল্য পেলেও ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট উঁচিয়ে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের (এমএলএস) দল ইন্টার মায়ামিতে পাড়ি জমানোর আগে বিশ্বকাপজয়ী মেসি দুই মৌসুম ছিলেন পিএসজিতে। তার সঙ্গে আক্রমণভাগের নেতৃত্বে ছিলেন সময়ের সেরা ফুটবলারদের তালিকার আরও দুজন। বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপে ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। কিন্তু পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে পারেনি এই তারকাখচিত ত্রয়ী। ২০২১-২২ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ ও সবশেষ ২০২২-২৩ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে প্রতিযোগিতার শেষ ষোলো থেকেই তারা ছিটকে যায়।

পিএসজির এমন ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন নেইমার নিজেই। বৃহস্পতিবার ইএসপিএন ব্রাজিলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টিকে ফুটবলের স্বাভাবিক প্রকৃতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। চলতি শতাব্দীর শুরুর দিকে রিয়ালের বানানো 'গ্যালাক্টিকো' দলটিকে উদাহরণ হিসেবে টেনে তিনি বলেছেন, 'গ্যালাক্টিকোরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারেনি। তো এটা খেলারই অংশ। আমাদের খুব শক্তিশালী একটি দল ছিল। আমি, মেসি ও এমবাপে হলাম এমন তিনজন খেলোয়াড় যাদের বিশ্বসেরা বলা হয়ে থাকে।'

পিএসজির স্কোয়াডে সমন্বয়ের অভাবও খুঁজে পেয়েছেন নেইমার, 'দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের দলের সমন্বয়টা ঠিক ছিল না। আর সেটা আমাদের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসেনি। আমরা সবকিছুই জিততে চেয়েছি এবং লকার রুমে আমরা পরস্পরের ঘনিষ্ঠ ছিলাম। কিন্তু ফুটবলে কখনও কখনও এমন অনেক কিছুই ঘটে যা ঠিক কিংবা প্রত্যাশিত নয়। ফুটবল তো আর কেক তৈরির রেসিপি নয়!'

Comments

The Daily Star  | English

Ivy placed on 2-day remand in murder case

Senior Judicial Magistrate Md Nour Mohsin passed the order this afternoon after police produced her before the court with a seven-day remand prayer in a case filed over the killing of garment worker Minarul Islam during the anti-discrimination student movement

19m ago