অবৈধ বেটিং কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত দি মারিয়া-পারেদেস

ইতালিতে অবৈধ বেটিংয়ের অভিযোগে নাম উঠেছে আর্জেন্টিনার দুই বিশ্বকাপজয়ী তারকা আনহেল দি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেসের। যদিও নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন এ দুই ফুটবলার। তবে বর্তমানে তদন্তের আওতায় রয়েছেন তারা। এ দুই আর্জেন্টাইন তারকাসহ তদন্তের আওতায় রয়েছেন ১০ ফুটবলার।

যদিও তদন্তাধীন খেলোয়াড়দের নাম অফিশিয়ালভাবে ঘোষণা করা হয়নি, ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখা দি মারিয়া ও পারেদেস রয়েছেন যারা বর্তমানে যথাক্রমে বেনফিকা ও রোমার হয়ে খেলছেন।

একই কারণে ইতালীয় জাতীয় দলের ফুটবলার সান্দ্রো তোনালি ও নিকোলো ফাজিওলির দীর্ঘমেয়াদী নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন। তবে ফিরতে না ফিরতেই আবারও অভিযুক্ত হলেন তারা। ইতালির বার্তা সংস্থা এএনএসএ ও এজিআই জানিয়েছে, তোনালি ও ফাজিওলির পাশাপাশি আরও ১২ জন খেলোয়াড় অবৈধ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জুয়া খেলার অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এই জুয়া খেলা হয়েছে, এবং বেশিরভাগ বাজি ফুটবল নয় বরং পোকারের ওপর ছিল। ২০২৩ সালে এই তদন্ত প্রথম প্রকাশ্যে আসার পর মিলানের আলেসান্দ্রো ফ্লোরেনজি ও ফিওরেন্তিনার নিকোলো জানিওলো'র নামও উঠে আসে।

সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলো এসেছে তোনালি ও ফাজিওলির মোবাইল ফোনের ফরেনসিক বিশ্লেষণ ও তাদের আদালতে দেওয়া জবানবন্দির সূত্রে। এখন তদন্তকারীরা জুভেন্তাসের বর্তমান খেলোয়াড় ম্যাটিয়া পেরিন ও ওয়েস্টন ম্যাককেনি এবং সাবেক খেলোয়াড় দি মারিয়া ও পারেদেসের দিকে নজর দিচ্ছেন। এছাড়া আতালান্তার রাউল বেল্লানোভা ও তোরিনোর সামুয়েলে রিচিও তদন্তের আওতায় রয়েছেন।

দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের ২৫০ ইউরো (প্রায় ২৮৪ ডলার বা ২১৩ পাউন্ড) জরিমানা এবং ইতালীয় ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি) থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তোনালি, বর্তমানে নিউক্যাসলের খেলোয়াড় এবং ফাজিওলি এখন খেলেন ফিওরেন্তিনার হয়ে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যথাক্রমে ১০ ও ৭ মাসের নিষেধাজ্ঞা পান তারা— যা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

তখন তোনালির শাস্তি বেশি হয় কারণ তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি ব্রেশিয়া ও এসি মিলানের ম্যাচে বাজি ধরেছিলেন যখন তিনি সেসব ক্লাবে খেলতেন। অন্যদিকে ফাজিওলি জুয়ায় আসক্তি ও প্রায় ৩০ লক্ষ ইউরো (প্রায় ৩৪ লাখ ডলার বা ২৫.৬ লাখ পাউন্ড) ঋণের কথা স্বীকার করেন — ফলে তার শাস্তি কিছুটা হালকা করা হয়।

শুক্রবার মিলানের পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তর জানায়, এই অবৈধ জুয়া চক্রটি একটি গহনার দোকানকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছিল, এবং এর সঙ্গে যুক্ত পাঁচজনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ জুয়া পরিচালনা ও অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযানে ১৫ লক্ষ ইউরো (প্রায় ১৬ লাখ ডলার বা ১২.৮ লাখ পাউন্ড) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
govt employees punishment rule

Govt employees can now be punished for infractions within 14 working days

Law ministry issues ordinance amending the Public Service Act, 2018

1h ago