আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

‘খারাপ খেললে ১৫ জনেরই সব নিতে হয়’

সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে ভারতে বিশ্বকাপে এসে টানা হতাশ করছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জেতার পর টানা চার ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।

কলকাতা থেকে

‘খারাপ খেললে ১৫ জনেরই সব নিতে হয়’

তাসকিন আহমেদ
ছবি: একুশ তাপাদার/স্টার

ভালো খেললে তালি, না হলে গালি। ভালো খেললে পাওয়া যায় বিপুল সমর্থন। খারাপ করলে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে হয়। তাসকিন আহমেদ এবারের বিশ্বকাপে এটা আরও বেশি করে উপলব্ধি করছেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বলছেন, দলের খারাপ পরিস্থিতিতে স্কোয়াডের ১৫ জন ক্রিকেটারকেই চাপের ভাগীদার হতে হচ্ছে।

সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে ভারতে বিশ্বকাপে এসে টানা হতাশ করছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জেতার পর টানা চার ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।

আগামীকাল শনিবার ষষ্ঠ ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে নামার আগে বাংলাদেশ আছে ভীষণ চাপে। জিতলে হবে মান রক্ষা, কিন্তু ডাচদের বিপক্ষে কোনো কারণে পা হড়কালে দলের ভিত নিয়েই হবে টানাটানি।

ক্রিকেটাররা খুব ভালো করেই জানেন এসব পরিস্থিতি। ম্যাচের আগের দিন শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তাই তাসকিন জানান, সব চাপ সয়ে যাচ্ছেন তারাই, 'যখন খারাপ হয়, তখন আমাদের ১৫ জনেরই সব নিতে হয়। এটা আমরা নিচ্ছি বরাবরের মতো। আবার যখন ভালো হবে, সবাই মিলে উদযাপন করব।'

গোটা দল হিসেবেই খারাপ খেলছে বাংলাদেশ। তবে কিছু কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় ঘাটতি প্রকট। তার একটা হচ্ছে পেস আক্রমণ। প্রথম তিন ম্যাচ খেলে তাসকিন নিজেও ছিলেন মলিন। উইকেটে পেসারদের জন্য তেমন কিছু না থাকা বড় একটা কারণ। তবে এই কারণেই হাল না ছেড়ে কোনো একটা উপায় বের করার চিন্তায় আছেন তারা, 'তেমন ভালো করতে পারিনি। যদি এটা বলতে থাকি যে, খুব বেশি পেস বোলাররা সাহায্য পাচ্ছে না... এটা না বলে যদি (চিন্তা করি) কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, কোন জায়গায় কাজ করা যায়— সেই জিনিসগুলো নিয়ে সভা করছি। বোলিং বিভাগ পরের ম্যাচগুলোতে কতটা ভালো করা যায় সেটাই ভাবছি। আমরা ভালো না করলে জেতাটাও কঠিন।'

Comments

The Daily Star  | English

Tug-of-war over water lily continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June.

5h ago