আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

নিজেদের সেরা ক্রিকেট না খেলেও প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ দিতে পারে অস্ট্রেলিয়া

প্রত্যেক ম্যাচেই ম্যাচের কোনও না কোন অংশে প্রতিপক্ষ দলই ছিল ফ্রন্টফুটে। ম্যাচের পুরোটা জুড়েই দাপট রেখে জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া, প্যাট কামিন্স বলতে চাইছেন সেটাই। তবে এখানেই কামিন্স খুঁজে নিচ্ছেন আত্মবিশ্বাসের রসদ

নিজেদের সেরা ক্রিকেট না খেলেও প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ দিতে পারে অস্ট্রেলিয়া

নিজেদের সেরা ক্রিকেট না খেলেও প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ দিতে পারে অস্ট্রেলিয়া
ছবি: রয়টার্স

বিশ্বকাপ ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া দুই দলের একটির সঙ্গেই কেবল জড়িয়েই আছে দাপট শব্দটি। বড় কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া সব ম্যাচ জিতে ফাইনালে পা রেখেছে রোহিত শর্মার দল। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও ভারতের দাপটের কথা অকপটে স্বীকার করছেন। কিন্তু কামিন্সের অস্ট্রেলিয়াও তো ফাইনালে পা রেখেছে টানা আট জয় নিয়ে। যদিও কামিন্স বলছেন, এখনো নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি তারা।

সেরা ক্রিকেট না খেলেও ফাইনালে চলে আসা কামিন্সের কাছে ইতিবাচক, ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বলেন, 'আমাদের জন্য একটি আন্দদদায়ক ব্যাপার হচ্ছে যে, আমি এখনও মনে করি না আমরা পরিপূর্ণ খেলাটা খেলতে পেরেছি।'

'হয়তো নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে (পরিপূর্ণ ক্রিকেট)। কিন্তু এর বাইরে সম্ভবত নয়, যে কারণে বড় জয়ও নেই। আমাদের সব জয় পেতেই লড়াই করতে হয়েছে এবং আমরা জয়ের একটা পথ খুঁজে পেয়েছি। আর ভিন্ন সময়ে ভিন্ন খেলোয়াড়ও অবদান রেখেছে।'

প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে অজিরা। টানা সাত জয়ে এরপর জায়গা করে নেয় সেমিফাইনালে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অজিদের ঐতিহাসিক জয় এসেছে ৩ উইকেটে। নিউজিল্যান্ডকে তারা হারিয়েছে মাত্র ৫ রানে।

অবশ্য নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩০৯ রানের জয়ের বাইরেও তারা জিতেছে বড় জয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেটে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬২ রানে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও মিলেছে ৩৩ রানের জয়।

কিন্তু প্রত্যেক ম্যাচেই ম্যাচের কোনও না কোন অংশে প্রতিপক্ষ দলই ছিল ফ্রন্টফুটে। ম্যাচের পুরোটা জুড়েই দাপট রেখে জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া, প্যাট কামিন্স বলতে চাইছেন সেটাই।

তবে এখানেই কামিন্স খুঁজে নিচ্ছেন আত্মবিশ্বাসের রসদ, 'আমার মনে হয় যে যেকোন দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হলে আমাদের পুরোপুরি সেরা অবস্থায় না থাকলেও হবে। দলের সবাই কালকের ম্যাচে এটা থেকে অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago