৪৭তম বিসিএস: এক দশকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের সম্ভাবনা

বিপিএসসি
ছবি: সংগৃহীত

৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। এ সংখ্যা বাড়ানোও হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গত এক দশকে এত সংখ্যক ক্যাডার নিয়োগ হয়নি কোনো বিসিএসে।

২০১৩ সালে ৩৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে মোট ৮ হাজার ৫২৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। যদিও এর মধ্যে স্বাস্থ্য ক্যাডারের ছিল ৬ হাজার ৩৬০ জন।

সূত্র জানায়, গত পাঁচটি বিসিএস পরীক্ষার মতো ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিও নভেম্বরে ঘোষণা করা হবে।

গত আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে দেশে কিছুটা অস্থিতিশীলতা থাকলেও সময়মতো বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে পিএসসি।

পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে শূন্য পদের সংখ্যা পেলে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেবো।'

সূত্র জানায়, এ বিসিএসে সরকার ২৫ ক্যাডারে মোট ৩ হাজার ৪৭৮ জনকে নিয়োগ দিতে পারবে। স্বাস্থ্য ক্যাডারে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৮১ জন সহকারী সার্জন নিয়োগের সম্ভাবনা আছে। এছাড়া, শিক্ষা ক্যাডারে ৯৩৮, প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ১০০, কাস্টমসে ৫০, আনসারে ৫০, ট্যাক্সে ৫০ এবং পররাষ্ট্র, বন, রেল, কৃষি ও মৎস্যসহ অন্যান্য ক্যাডারে ৯৫১ জন নিয়োগ হতে পারে। তবে, নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

যোগাযোগ করা হলে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. মোবাশ্বের মোনেম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা এখনও সরকারের কাছ থেকে কোনো সুপারিশ পাইনি। সুপারিশ এলেই আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব।'

৪৪তম বিসিএস

সূত্র আরও জানায়, ৪৪তম বিসিএসে আরও ৩৮২টি পদ নতুন করে যুক্ত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ পদের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ চাকরিপ্রার্থী।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী পদের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য ক্যাডারে (সহকারী সার্জন ও ডেন্টাল সার্জন) ১৮০, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণে ৫৪, কর ৫৪, প্রাণিসম্পদ ২০, কৃষি ৬৮ এবং সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী তড়িৎ প্রকৌশলী ক্যাডারে ২ জন করে নিয়োগ হতে পারে।

এপ্রিলের প্রথম দিকে ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এ পরীক্ষায় পাস করে ১১ হাজার ৭৩২ জন। 

২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি।

২০২২ সালের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন।

Comments

The Daily Star  | English
Sector-wise subsidy and incentive allocation

Subsidy load swells despite weak revenue

The government’s target to provide subsidies and incentives amounting to Tk 125,741 crore in fiscal year 2025-26 is creating high pressure on fund mobilisation amid a challenging macroeconomic situation.

13h ago