ইভ্যালির বিরুদ্ধে ১ বছরে ৫৮১৫ অভিযোগ, নিষ্পত্তি ৩৫৩

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে গত এক বছরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ৫ হাজার ৮১৫টি অভিযোগ এসেছে এবং এই সময়ের মধ্যে মাত্র ৩৫৩টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ইভ্যালির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট ১০ হাজার ৭৪৭টি অভিযোগ করা হয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৪৯৫টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে।

বিতর্কিত এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগের নিষ্পত্তির হার বর্তমানে ৪১ শতাংশ, এক বছর আগে নিষ্পত্তির হার ৮৪ শতাংশ ছিল বলে অধিদপ্তর জানায়।

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর জানায়, গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের কাছে ইভ্যালির দায় বিপুল এবং এর সম্পদের পরিমাণ সীমিত। তাই গ্রাহকদের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

আদালত দ্বারা গঠিত ইভ্যালির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির নামে ২৫ কোটি টাকা এখন বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ের এসক্রো অ্যাকাউন্টে আটকে আছে এবং দুটি গুদামে মোট ২৫ কোটি টাকার পণ্য আছে।

এই পর্ষদের প্রধান বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সম্প্রতি জানান, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে করা দাবির তুলনায় এই সম্পদের পরিমাণ খুবই সামান্য।

জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ধরনের অনেক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের অফিস বন্ধ হয়ে গেছে এবং তাদের কর্মকর্তাদের কোনো খোঁজ নেই। ইভ্যালির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিযোগ থাকলেও, টাকা ফেরত দেওয়ার কেউ নেই।'

আদালত কর্তৃক নিযুক্ত ইভ্যালির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবির মিলন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা বা বিলুপ্ত করতে একটি অডিটের মাধ্যমে মতামত দিতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা গ্রাহকের অভিযোগ নিয়ে কাজ করি না।'

'এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

3h ago