তথ্য গরমিলের চাপে জুনের রপ্তানি পরিসংখ্যান প্রকাশে ইপিবির দেরি

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, ইপিবি, বাংলাদেশ ব্যাংক, আহসানুল ইসলাম টিটু, রপ্তানি গরমিল,
ফাইল ছবি

জুন মাসের রপ্তানি তথ্য প্রকাশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি রপ্তানি তথ্যের গরমিলের পর প্রতিষ্ঠানটি একটু চাপে পড়েছে।

গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে প্রকৃত রপ্তানি ইপিবির দেওয়া তথ্যের চেয়ে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার কম ছিল। এই গরমিল সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আর্থিক খাতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসেবে এসেছে।

সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইপিবি চলমান মাসের প্রথম তিন দিনের মধ্যে আগের মাসের রপ্তানি তথ্য প্রকাশ করে। কিন্তু এবার দেরি হচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক রপ্তানি আয়ের সংশোধিত তথ্য প্রকাশের পর প্রকৃত আয় ও ইপিবির দেওয়া তথ্যের গরমিলের অবসান হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হতে পারে, রপ্তানি তথ্যের গরমিল ধরা পড়ায় ইপিবি তথ্য বাছাই করছে। এজন্য এ মাসে একটু দেরি হচ্ছে।'

ইপিবি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছিল। এজন্য তারা পণ্য ফেরত পাঠানো হলো কি না তা বিবেচনা করত না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়াল ডুপ্লিকেশন ভুল থেকে শুরু করে কাপড়ের দামে ভুলসহ রপ্তানি হিসেবে নমুনা পণ্যের হিসাবেও গরমিল আছে।

যেমন- কাটিং, মেকিং ও ট্রিমিং নামে পরিচিত উত্পাদন প্রক্রিয়ার অধীনে গার্মেন্টস পণ্য অর্ডারের ক্ষেত্রে ইপিবি কাপড় ও সব আনুষঙ্গিক পণ্যের দাম গণনা করে। যদিও কেবল মেকিং চার্জ বিবেচনায় নেওয়ার কথা ছিল।

আবার রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের ভিতরের প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য দুইবার গণনা করা হয়েছে- প্রথমত ইপিজেড থেকে দেশীয় প্রতিষ্ঠানে শিপমেন্টের সময় এবং দ্বিতীয়ত রপ্তানিকারক যখন বন্দর থেকে শিপমেন্ট করেছে তখন।

বাংলাদেশে ব্যাংক বলছে, রপ্তানি তথ্যের গরমিল অন্তত ১২ বছর ধরে চলে আসছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই ব্যবধান ১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শিগগিরই একটি নতুন প্রকল্প নেবে, যেন ইপিবি নিজেই স্বাধীনভাবে তথ্য গণনা করতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

SC Secretariat Ordinance: Judges may hold executive posts

Lower court judges will be able to hold executive positions in the law ministry as well as state entities even after the establishment of a Supreme Court secretariat aimed at keeping the judiciary free from the executive’s influence, says a draft ordinance.

4h ago