সীমান্ত বিরোধ মিটে যাওয়ার ঘোষণা ভারত ও চীনের

ভারত-চীন সীমান্তের ভারতের সেনা সদস্য। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ভারত-চীন সীমান্তের ভারতের সেনা সদস্য। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সীমান্ত এলাকার কিছু বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে ভারত-চীন সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। তবে এই বিবাদের অবসান ঘটেছে। এমনটাই জানিয়েছে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

আজ মঙ্গলবার ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু ও বার্তাসংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।

ভারত ও চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) সংশ্লিষ্ট ভূখণ্ডে 'টহল বন্দোবস্ত' ও এ অঞ্চলে দুই দেশের সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

কর্মকর্তারা এই ঘটনাকে 'অভাবনীয়' বলে উল্লেখ করেন তারা জানান, এই উদ্যোগে দেমচক ও দেপসাং অঞ্চলে বিদ্যমান বিরোধের অবসান হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া গেছেন। তার এই সফরকে ঘিরে আয়োজিত গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম বিক্রম মিসরি এই ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, এই সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংও যোগ দেবেন।

মিসরি বলেন, 'গত কয়েক সপ্তাহে ভারত ও চীনের কূটনীতিক ও সামরিক মধ্যস্থতাকারীরা বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করেছেন। এসব আলোচনার ফলে ভারত-চীন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের টহল ও যেসব বিষয় নিয়ে ২০২০ সাল থেকে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছিল, সেগুলোর বিষয়ে দুই দেশ একমত হতে সক্ষম হয়েছে।'

তিনি আরও জানান, দুই দেশ এখন 'পরবর্তী উদ্যোগগুলো' নিতে শুরু করবে।

কয়েক ঘণ্টা পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০২০ সালের আগে সীমান্তে যেভাবে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হোত, এখন আবারও তা শুরু হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঐক্যমত ও চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি। এমন কী, টহলের প্রয়োজনে বাফার জোন অব্যাহত থাকবে কী না, সেটাও জানানো হয়নি।

এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, '২০২০ সালে পরিস্থিতি যেমন ছিল, এখন আমরা আবারও সে পর্যায়ে ফিরে গেছি। এর মাধ্যমে আমি বলতে পারি, চীনের সঙ্গে সীমান্তে বিরোধের অবসান ঘটেছে।'

অতীতে, ভারত সরকার জানিয়েছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি তখনই ফিরে আসবে, যখন চীন তাদের সেনা সরিয়ে নেবে।

উল্লেখ্য, চীনের সেনা মোতায়েনের জবাবে ভারতও এসব এলাকায় সেনা মোতায়েন করে।

ব্রিকস সম্মেলন শুরুর ঠিক এক দিন আগের এই ঘোষণায় রাশিয়ায় মোদি-শি'র বৈঠকের বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মাঝে ১৪ বার মোদি-শি'র দেখা হয়েছে। ২০২২ সালে গালওয়ান উপত্যকার সংঘাতের পর মাত্র দুই বার এই দুই নেতা বৈঠক করে। ঐ ঘটনায় ২০ ভারতীয় সেনা ও চার চীনা সেনা নিহত হয়েছিলেন।

ইন্দোনেশিয়ার জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে এবং ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে এই দুই নেতার বৈঠক হয়।

সোমবার এ বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও আজ মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লি জিয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, 'ভারত-চীন সীমান্তের বিরোধিতাপূর্ণ বিষয়গুলোর সমাধানে দুই দেশ একমত হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Gunfight

Local BNP leader shot dead in Dhaka’s Badda

When Kamrul was sitting on a chair on the roadside and talking with 2-3 people, two assailants on foot came from behind and shot him before fleeing the scene

5h ago