বইমেলায় ‘ভূত অভিধান’

ভূত অভিধানের প্রচ্ছদ। ছবি: সংগৃহীত

আটপৌরে গল্পের আসর থেকে শুরু করে বাঙালির শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি সবখানেই 'ভূত' এর অবাধ বিচরণ। 

আমাদের গ্রামীণ সমাজে 'ভূত' নিয়ে নানা সংস্কার বা কুসংস্কারও প্রচলিত আছে, যেগুলোর বেশিরভাগই এখন বিলুপ্তির পথে। 

জীববৈচিত্র্যপূর্ণ বাংলাদেশে ভূতের মধ্যেও আছে নানা বৈচিত্র্য। হিন্দু ব্রাহ্মণের ভূত 'ব্রহ্মদৈত্য' যেমন আছে, তেমনি আছে মুসলমান ভূত 'মামদো'। অবিবাহিত 'প্রেত' ও 'পেতনি' যেমন আছে, তেমনি আছে বিবাহিত নারীর প্রেতাত্মা 'শাঁখচুন্নী'। আছে চোরাভূত 'চোরাচুন্না' ও 'চোরাচুন্নি'। 'মাছে ভাতে বাঙালি' এই বিশ্বাস বুকে ধারণ করে আছে মাছলোভী 'মেছো ভূত'।

আছে জলের দেশের ভূত 'হাঁড়া', 'আলেয়া', 'জটাধারী'। এমনকি এই অঞ্চলের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে আছে বৈশাখী ঝড়ের ভূত 'বাঁড়ুল'! মানুষের পাশাপাশি গরুরূপী- 'গোদানা', প্যাঁচারূপী পেঁচাপেঁচিও আছে এই বাংলায়। 

যেমন বিচিত্র ভূতের স্বভাব, তেমনি কিম্ভূত তাদের অবয়ব। ভূত বাঙালীর জীবন ও সংস্কৃতির বৃহৎ এক উপাদান। 

বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব ভূত নিয়ে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা হয়েছে খুব কম। 'ভূত অভিধান' এমনই এক প্রয়াস, যেখানে বাংলা সংস্কৃতির ভূতের চরিত্রভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চিত্রিত করা হয়েছে। 

গবেষণা ও কল্পকাহিনীর মিশেলে গ্রন্থাকারে লেখা 'শব্দ' প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম 'ভূত অভিধান' লিখেছেন আশিনুর রেজা। 

বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় 'চারুলিপি' প্রকাশনীর ৩৬ নম্বর প্যাভিলিয়নে। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Jamaat chief collapses twice, continues to speak

He continued addressing the rally while seated on the stage

34m ago