জঙ্গি মামলায় খালাস পেয়ে নিখোঁজ, ৭২ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি ২ যুবকের

নিখোঁজ জঙ্গি
নিখোঁজ জামাল উদ্দিন (বামে) ও মেহেদী হাসান (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটে জঙ্গি মামলায় আদালত থেকে গত মঙ্গলবার দুপুরে খালাস পেয়ে জেলগেট থেকে নিখোঁজ হন মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসান ও জামাল উদ্দিন।

আজ শুক্রবার পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায়, আতঙ্কে আছে পরিবারের সদস্যরা।

তাদের দাবি, শুক্রবার দুপুরে মুখোশ পরা মাইক্রোবাসে তাদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনও করেছে নিখোঁজ দুই যুবকের পরিবার।

নিখোঁজ মেহেদী লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ঠ্যাংঝারা গ্রামের বাসিন্দা ও জামাল উদ্দিন কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার সুন্দ্রাহবি গ্রামের বাসিন্দা।

পরিবারের সদস্যরা জানান, জামাল ঢাকার একটি কলেজে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিলেন। আর মেহেদী লালমনিরহাটের একটি মাদ্রাসায় ফাজিল অধ্যয়নরত।

মেহেদীর বাবা আব্দুল লতিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জঙ্গি মামলায় মেহেদী ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালত থেকে বেকসুর খালাস পায়। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সে জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে আসে। কারাগারের সামনের রাস্তায় মুখোশ পরা ৯-১০ জন তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।' 

তিনি বলেন, 'আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাইক্রোবাসটি ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। কারা এবং কেন আমার ছেলেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে সেটা বুঝতে পারছি না। এখনো তার কোনো খোঁজ পাইনি।

'মেহেদীকে খুঁজে না পাওয়ায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি,' যোগ করেন তিনি।

নিখোঁজ জামালের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জামাল ও মেহেদী একসঙ্গে ছিল। মুখোশ পরিহিত লোকজন মাইক্রোবাসে করে তাদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কারা এবং কেন আমার ভাইকে ছিনিয়ে নিয়েছে বুঝতে পারছি না।'

জানতে চাইলে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই যুবকের নিখোঁজের ঘটনায় পুলিশ লিখিত অভিযোগ পেয়েছে। ঘটনাটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।'

'জামাল ও মেহেদীর নিখোঁজের রহস্য শিগগির উদঘাটন করা হবে,' বলেন তিনি।

আদালত সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৬ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল ২০১৭ সালে। এ মামলায় জামাল, মেহেদী, রাকিবুল ইসলাম ও নাহিদ হাসান ওরফে নাহিদ বাবু কারাগারে ছিলেন। 

মামলার অপর দুই আসামি মেহেদী হাসান মিশান জামিনে ছিলেন এবং হাসানুল বান্না পলাতক।

আদালতে রাকিব ও নাহিদ বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। অপর ৪ জনকে খালাস দেন লালমনিরহাট দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মিজানুর রহমান।

Comments

The Daily Star  | English

Shibir leading in top two Ducsu posts

The results announced by the presiding officers of respective halls showed that Shadik won a total of 5,676 votes while his nearest candidate Abidul Islam Khan, from the JCD-backed panel, got 1,509

28m ago