আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুত বাড়ছে ভারতের পুঁজি

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তবে বাংলাদেশের বোলারদের বুঝিয়ে দিলেন অবসর নিলেও ব্যাটে মরচে পড়েনি। নিজের প্রথম দুই বলেই দুটি ছক্কা। আর প্রথম ওভারে টানা তিনটি চার মেরে ইঙ্গিতটা আগেই দিয়েছেন সঙ্গী যশস্বী জয়সওয়ালও। আড়াই দিন বৃষ্টির পেটে যাওয়া টেস্টের ফলাফল আনতে যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারত।

সোমবার কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের চা বিরতি পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ১৬ ওভার ব্যাটিং করেই ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। শুবমান গিল ৩৭ ও রিশব পান্ত ৪ রানে ব্যাটিং করছেন। দিনে এখনও আরও ৪০ ওভারের খেলা বাকি। এর আগে মধ্যাহ্ন বিরতির কিছুক্ষণ পর প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

যে গতিতে ব্যাটিং করছে ভারত, তা না থামানো গেলে তৃতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টাতেই হয়তো লিডের দেখা পাবে দলটি। ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন মাত্র ৩ ওভারেই দলীয় ফিফটি পূর্ণ করে তারা। ভেঙে দেয় ইংলিশদের রেকর্ড। চলতি বছরই ৩০ বছর আগে করা নিজেদের রেকর্ড ভেঙে দ্রুততম দলীয় ফিফটির নতুন রেকর্ড গড়েছিল ইংল্যান্ড। গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪.২ ওভারে দলীয় ফিফটি পূরণ করেছিল ইংলিশরা।

শুধু দলীয় ফিফটি নয়, দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও ভেঙে দেয় ভারত। ১০.১ ওভারে দলীয় সেঞ্চুরি পূরণ করে তারা। অবশ্য দলীয় সেঞ্চুরির আগের রেকর্ডটিও ছিল তাদেরই। গত বছরই পোর্ট অব স্পেনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিল দলটি। ১২.২ ওভারে তারা পেরিয়ে গিয়েছিল শতরান।

হাসান মাহমুদের করা প্রথম ওভারে টানা তিনটি বাউন্ডারি মেরে ১২ রান তোলেন জয়সওয়াল। পরের ওভারে তার সঙ্গে রোহিতের তোপে সৈয়দ খালেদ আহমেদের প্রথম ওভারে আসে ১৭ রান। আর হাসানের করা তৃতীয় ওভারে আসে আরও ১৭ রান। তাতেই হয় টেস্টে দ্রুততম দলীয় পঞ্চাশের নতুন রেকর্ড।

যদিও তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই রোহিতের উইকেট পেতে পারতেন হাসান। ব্যাটের কানা ছুঁলেও জোরালো আবেদন করেননি কেউ। কভার থেকে মেহেদী হাসান মিরাজ শব্দ শুনলেও বোলার ও উইকেটরক্ষক লিটন দাসের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না মেলায় রিভিউ নেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

ভারত বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পর চতুর্থ ওভারে স্পিনার আক্রমণে আনেন শান্ত। মিরাজের হাতে বল তুলে দিলে প্রথম বলে বাউন্ডারি হজম করলেও পরের বলেই রোহিতকে ফেলেছিলেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। অবশ্য রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ভারতীয় অধিনায়ক। তবে ঠিক পরের বলেই তাকে বোল্ড করে দেন মিরাজ। ১১ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৩ রান করেন রোহিত।

এরপর শুবমান গিলকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন জয়সওয়াল। ৬৩ বলে গড়েন ৭২ রানের জুটি। এর মাঝেই হয় টেস্টে দ্রুততম দলীয় সেঞ্চুরির রেকর্ড। তবে জয়সওয়ালের ঝড় শেষমেশ থামান হাসান। কিছুটা নিচু হওয়া ডেলিভারিতে ৭২ রানে তাকে বোল্ড করে দেন তিনি। ৩১ বলে ফিফটি স্পর্শ করা এই ওপেনার ৫১ বলের বিস্ফোরক ইনিংসটি সাজান ১২টি চার ও ২টি ছক্কায়।

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago