বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি: গোয়ালিয়রে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ, ১৬০০ পুলিশ মোতায়েন

শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গোয়ালিয়র। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি নির্বিঘ্নে আয়োজনের জন্য গোয়ালিয়রে সব ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গোয়ালিয়রের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (বিএনএসএস) ১৬৩ ধারার অধীনে এই নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করেছেন। নিরাপত্তা ও পরিবহন ব্যবস্থাপনার জন্য প্রায় ১৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়ছে।

আগামী রোববার গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ আয়োজনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। তাদের দাবি, গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর 'নিপীড়ন' করা হচ্ছে। সেটার প্রতিবাদে প্রথম টি-টোয়েন্টির দিন শহরটিতে 'বনধ' ডেকেছে ভারতের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলটি। এছাড়া, আরও কয়েকটি সংগঠন বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।

এতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। তবে স্থানীয় প্রশাসন কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী রোববার ম্যাচটি আয়োজনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই কঠোর অবস্থান নিয়েছে তারা।

নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ অনুসারে, গোয়ালিয়র জেলার সীমানার মধ্যে কোনো ব্যক্তি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্যাঘাত ঘটায় বা ধর্মীয় উস্কানি দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের সমস্ত ব্যানার, পোস্টার, কাটআউট, পতাকা ও অন্যান্য আপত্তিকর সামগ্রী নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শুধু তা-ই নয়। পাঁচ বা এর বেশি লোকের জমায়েত, আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও তলোয়ার বা বর্শার মতো তীক্ষ্ণ ও ধারাল অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমস্ত ভবনের ২০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কেরোসিন, পেট্রোল ও অ্যাসিডের মতো দাহ্য পদার্থের ব্যবহারও নিষিদ্ধ থাকবে।

গোয়ালিয়রের মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ১৪ বছর পর জেলাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হবে ৩০ হাজার ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট স্টেডিয়ামটির।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago