হামজার প্রথম হোম ম্যাচ হবে জাতীয় স্টেডিয়ামে!

দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে হামজা চৌধুরীর। তবে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারতের শিলংয়ে। ঘরের মাঠে এখনও খেলা হয়নি তার। তবে দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামেই দেশে প্রথম ম্যাচটি খেলবেন বলে আশাবাদী স্পোর্টস অ্যাডভাইজার আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারসে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচটি সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। আগামী ১০ জুন তাদের আতিথেয়তা দেবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেই ম্যাচটি ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ায় কোনো বাধা দেখছেন না সজীব। এর আগে, ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ।

ম্যাচটি ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও, যাতে ইংল্যান্ডপ্রবাসী হামজা চৌধুরীকে প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে লাল-সবুজ জার্সিতে খেলার সুযোগ পান স্থানীয় দর্শকরা।

জাতীয় স্টেডিয়াম, যা পূর্বে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল, ২০২১ সালের আগস্ট থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে সংস্কারকাজে রয়েছে স্টেডিয়ামটি। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) স্টেডিয়ামটির দায়িত্ব বুঝে পায়নি, যার ফলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচগুলো দেশের অন্যান্য ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে অনুন্নত সুবিধাপ্রাপ্ত শিশুদের নিয়ে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্পোর্টস অ্যাডভাইজার জানান, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজন সম্ভব বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

''কাজ অলমোস্ট শেষ। আমার তাবিথ ভাইয়ের (বাফুফে সভাপতি) সাথে কথা হয়েছে। বাফুফে মাঠের ঘাসের আরো একটু কাজ করবে। আমাদের লাইটিং ও অন্যান্য কাজও শেষের দিকে। আমাকে জানানো হয়েছে এক মাসের মধ্যে মাঠ রেডি হয়ে যাবে। খেলা আয়োজনে সমস্যা দেখছি না,' বলেন সজীব।

এদিকে আবারও দেশের প্রধান এই ভেন্যুতেই ম্যাচটি আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করে বাফুফের একটি কমিটি। তবে আন্তর্জাতিক মানের একটি ম্যাচ আয়োজনের জন্য এখনো ড্রেসিং রুম এবং ম্যাচ কমিশনারের কক্ষ প্রস্তুতের মতো কিছু কাজ বাকি রয়েছে।

আগামীকাল থেকেই মাঠের কাজ শুরু করবেন বলে জানান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, 'আমরা আগামীকাল থেকেই মাঠের কাজ শুরু করতে চাই। আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে অনুরোধ করেছি, আগামী দেড় মাসের মধ্যে যেন মাঠটি অন্য কাউকে বরাদ্দ না দেয়া হয়। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মাঠ ও অন্যান্য কিছু কাজ শেষ করতে পারবো।'

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

11h ago