সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ফাহামেদুলকে পুনর্বিবেচনা করতে ক্যাবরেরাকে অনুরোধ

গত ২৫শে মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হতে জাতীয় দল শিলং যাওয়ার প্রাক্কালে, একদল অসন্তুষ্ট ভক্তের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তাদের উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইতালি-ভিত্তিক কিশোর ফাহামেদুল ইসলামকে দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে।

সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ক্যাম্প থেকেই এই তরুণ উইঙ্গারকে ছেড়ে দেন প্রধান কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। এবং জানিয়ে দেন—সে এখনো দলের কৌশলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি এবং আপাতত আরও ভালো বিকল্প রয়েছে।

পরে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, ফাহামেদুল ওই ক্যাম্পে কিছুটা হতাশ হয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, অনুশীলন ম্যাচে স্থানীয় খেলোয়াড়দের কাছ থেকে যথাযথ সহায়তা পাচ্ছিলেন না তিনি। এই বিষয়ে তিনি একাধিকবার কোচকে অবহিত করেন। কোচ ক্যাবরেরা তার আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে ইতালিতে ফেরত পাঠান। তবে ক্যাবরেরা তার প্রতিভা ও পরিশ্রমের প্রশংসাও করেছেন।

বুধবার অনুষ্ঠিত জাতীয় দল কমিটির বৈঠকে আবারও সামনে আসে বিষয়টি। সেখানে আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচকে কেন্দ্র করে ফাহামেদুলসহ বিদেশে অবস্থানরত আগ্রহী খেলোয়াড়দের পরবর্তী ক্যাম্পে রাখার সুপারিশ করা হয়।

বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু সাংবাদিকদের বলেন, 'বৈঠকের মূল আলোচ্য ছিল সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রস্তুতি। আমরা একটি শক্ত পারফরম্যান্স ও ভালো ফলের ওপর জোর দিয়েছি, এবং কোচও আগের ম্যাচগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে উন্নতির আশ্বাস দিয়েছেন।'

ফাহামেদুল প্রসঙ্গে বাবু বলেন, 'কমিটি পরবর্তী ক্যাম্পে তাকে রাখার সুপারিশ করেছে। বিদেশি খেলোয়াড়কে জাতীয় দলে খেলাতে হলে কিছু প্রশাসনিক ছাড়পত্রের প্রয়োজন। বাফুফে সভাপতি ইতোমধ্যেই ফাহামেদুলের ছাড়পত্রের বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।'

খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমিটি হস্তক্ষেপ করেছে কিনা জানতে চাইলে, বাবু স্পষ্ট করে বলেন যে কোচের যে কোনো বিদেশী খেলোয়াড়কে উপযুক্ত মনে করেন তাকে অন্তর্ভুক্ত করার পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে এবং বোর্ড এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে।

প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ৫ জুন ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনাও জানানো হয় বৈঠকে। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে সুদান ঢাকায় খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এছাড়াও, কোচকে সহায়তার জন্য একটি নির্বাচনী কমিটি গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি, ব্যাকরুম স্টাফে শক্তি বাড়াতে একজন বিদেশি গোলকিপিং কোচ নিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে সভাপতিকে।

Comments

The Daily Star  | English
child victims of July uprising Bangladesh

Child victims of July uprising: Of abandoned toys and unlived tomorrows

They were readers of fairy tales, keepers of marbles, chasers of kites across twilight skies. Some still asked to sleep in their mother’s arms. Others, on the cusp of adolescence, had just begun to dream in the language of futures -- of stethoscopes, classrooms, galaxies. They were children, dreamers of careers, cartoons, and cricket.

11h ago