বিপিএলে কোচ হিসেবে টানা ১৫ ম্যাচ হারলেন সুজন

বিপিএলের গত আসরে দুর্দান্ত ঢাকার প্রধান কোচ ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। দলটি মৌসুম শুরু করেছিল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার রেকর্ড চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতে। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি পাওয়া ওই জয়ের পর কেবল হারের মুখই দেখছেন সুজন।

অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি! বিপিএলে কোচ হিসেবে লম্বা সময় ধরে হারের বৃত্তে বন্দি বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুজন। সব মিলিয়ে টানা ১৫ ম্যাচ হারার তেতো স্বাদ পেয়েছেন তিনি।

দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার গত আসরের উদ্বোধনী লড়াইয়ে কুমিল্লাকে হারানোর পর টানা ১১ ম্যাচ হেরেছিল ঢাকা। তারা ২০২৪ সালের মৌসুম শেষ করেছিল পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে। ১২ ম্যাচে তাদের অর্জন ছিল মাত্র ২ পয়েন্ট।

ব্যর্থতার সেই ধারা চলমান বিপিএলে এসেও ভাঙতে পারেননি সাবেক বিসিবি পরিচালক সুজন। এবার তিনি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ। তার অধীনে দলটি হেরেছে চার ম্যাচের সবকটিতেই। অর্থাৎ এখনও পয়েন্ট খাতা খুলতে পারেনি ঢালিউড তারকা শাকিব খানের মালিকানাধীন ঢাকা। তাদের অবস্থান পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে।

এই আসরের ঢাকা পর্বে রংপুর রাইডার্স, দুর্বার রাজশাহী ও চিটাগং কিংসের কাছে হার মানে ঢাকা। সিলেট পর্বের শুরুতেও তাদের ভাগ্যের কোনো বদল ঘটেনি। মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফের রংপুরের কাছে হেরেছে তারা। ১৬.৩ ওভারে ঢাকাকে ১১১ রানে অলআউট করে ৪০ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে মৌসুমের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দলটি।

টানা হারের পাশাপাশি ঢাকার জন্য বাড়তি মাথাব্যথা হলো হারের ধরন। লিটন দাস-মোস্তাফিজুর রহমান-থিসারা পেরেরা-তানজিদ হাসান তামিমদের নিয়ে গড়া শক্তিশালী স্কোয়াড হলেও ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারছে না তারা। তাদের বিপরীতে অনায়াসে জিতছে প্রতিপক্ষরা।

বিপিএলের ইতিহাসে টানা ১৫ ম্যাচ হারার রেকর্ড নেই আর কোনো প্রধান কোচের। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত কোচের ভূমিকায় থাকা সুজনের জন্য এটি বিব্রতকর অভিজ্ঞতাই বটে। ২০১৬ সালের আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসকে চ্যাম্পিয়ন করার পর বিপিএলে কোচিং করিয়ে এখন পর্যন্ত আর সাফল্য পাননি তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Tk 2,956 crore earmarked for Election Commission

Of this amount, Tk 2,727 crore has been allocated as revenue budget, while Tk 229 crore was allocated as development budget

58m ago