সাক্ষাৎকার

বিশ্বকাপে হাথুরুসিংহে কিছুটা একনায়কতন্ত্রের চেষ্টা করেছিলেন: খালেদ মাহমুদ

khaled mahmud and Chandika Hathurusingha

বাংলাদেশে বড় টুর্নামেন্ট এলেই একজন টিম ডিরেক্টর পাঠানো হয় দলের সঙ্গে। সেটা বেশিরভাগ সময় হয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজনই। গত বিশ্বকাপেও এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে কিছু বিতর্ক। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত প্রতিবেদনে তার নাম এসেছে বলে খবর বেরিয়েছে। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে একান্ত আলাপে খালেদ মাহমুদ কথা বলেছেন এসব নিয়ে, প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়েও দিয়েছেন অভিমত।

টিম ডিরেক্টর হিসেবে বিশ্বকাপে আপনার পারফরম্যান্স যদি মূল্যায়ন করেন

খালেদ মাহমুদ: আমি সত্যিই জানি না আমার কি ভূমিকা ছিলো। অভিভাবক হিসেবে দলের সঙ্গে থাকা এটা আগেও বাংলাদেশে হয়েছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলে এমন ফিগার দরকার নেই। খেলোয়াড়রা শৃঙ্খালপরায়ণ, নিজেদের সম্পর্কে জানে। হয়ত বোর্ড এখনো অনুভব করে ফাদার ফিগার দরকার কিন্তু আমি না। একটা তদন্তে এসেছে দুজন পরিচালক হস্তক্ষেপ করেছেন। আমি জানি না এর মানে কি। হয়ত অনেক খেলোয়াড় অভিযোগ করেছে যখন তারা (দুজন পরিচালক) ড্রেসিংরুমে ছিলো তারা স্বস্তি-বোধ করেনি। আমি জানতে চাই কোন খেলোয়াড় এটা বলেছে। আমি মনে করি না কোন জায়গায় আমি খবরদারি করি।

আপনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের সিনিয়র ফিগার

খালেদ মাহমুদ: সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে আমি অনেক সিনিয়র। আমি তাদের সঙ্গে খুবই বন্ধুত্বপরায়ন। যদি আমি থাকায় সমস্যা হয় ড্রেসিংরুমে তাহলে নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের সমস্যা। হয়ত আমার কোন আচরণ তাদের কাছে খারাপ লেগেছে। কিন্তু আমার জানা মতে আমি কোন খেলোয়াড়কে আঘাত করিনি। গত দুটি বিশ্বকাপে আমার ভূমিকা সীমাবদ্ধ ছিলো। খেলা দেখা ছাড়া আমার কোন কাজ ছিলো না।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে তদন্ত কমিটি দুজন পরিচালকের কথা বলেছে। সেটা আপনি ও জালাল ইউনুস (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান) হতে পারেন। কেমন প্রতিক্রিয়া আপনার।

খালেদ মাহমুদ: আপনি যদি সব বিবেচনা করে থাকেন তাহলে এটা আমি ও জালাল ভাই হবো। এই সফরে আমি টিম ডিরেক্টর ছিলাম এবং জালাল ভাই অনেক ম্যাচে ছিলেন। আর কোন পরিচালক দলের সঙ্গে এত ঘন ঘন ছিলেন না। আমার কোন মন্তব্য নাই। (নাজমুল হাসান) পাপন ভাই পরিষ্কারভাবে বলেছেন এটা ভুয়া রিপোর্ট। আমাদের নাম তদন্তে মেনশন করা হয়নি।

বিশ্বকাপের এই তদন্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশে কি যুক্ত করল?

খালেদ মাহমুদ: কোন পরামর্শ নেই এমনিতে। আমি জানি না, আমি পুরো প্রতিবেদন পড়িনি। কিছু জিনিস খুঁজে পাওয়া গেছে যা হয়ত বাংলাদেশের ক্রিকেটে আগামীতে কাজে লাগবে।

বিশ্বকাপে খুব ভালো দল ছিলো। সমস্যাটা কি ছিলো?

খালেদ মাহমুদ: আমি খুশি না যদিও আমরা দুই ম্যাচ জিতেছিল। যে মানের ক্রিকেট আমাদের খেলার কথা সেটা খেলতে পারিনি। আমরা নেদারল্যান্ডের কাছে হারটা সামলে উঠতে পারিনি। আমি মনে করি বিশ্বকাপের পর এত ঘাটাঘাটি না করে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে আমাদের শ্রীলঙ্কা সিরিজে ফোকাস দেওয়া উচিত। যদি আমরা পুরনো জিনিসে ফোকাস করি, দুর্গন্ধ ছড়াবে।

প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে বিশ্বকাপে অনেক কথা উঠেছে। আপনি কি দেখলেন?

খালেদ মাহমুদ: আমি মনে করি হাথুরুসিংহে অন্যতম সেরা একজন কোচ। পরিকল্পনা থেকে কাজের প্রতি নিবেদন- আমি মনে করি তিনি সব সময় কোচ, ২৪ ঘন্টায় কোচ। হ্যাঁ আগে যখন তাকে দেখতাম তার কিছুটা মাথা গরম ছিলো। এই বিশ্বকাপের পর মনে হয়েছে বিশ্বকাপে তিনি কিছুটা একনায়কতন্ত্র চেষ্টা করেছিলেন। 

আমি মনে করি যখন আপনি কোচ আপনাকে  সবাইকে আগলে রাখতে হবে। যখন আপনার কাছে বড় ছাতা আছে সেখানে সবাইকে আলগাতে হবে। আপনি তা করতে না পারলে সমস্যা। আমি মনে করি তার 'ম্যান ম্যানেজমেন্ট' আরেকটু ভালো হতে পারে। আমি ভুল হতে পারি। যেটা আমি মনে করি বললাম। কোচ হিসেবে তিনি খুব ভালো আমাদের জন্য।

Comments

The Daily Star  | English

Experts from four countries invited to probe into Dhaka airport fire: home adviser

Says fire that spread fast due to chemicals, garment materials was contained in time

26m ago