বিপিএল

পারিশ্রমিক নিয়ে নিয়ম মানেনি খুলনাও, মিরাজ বললেন ‘দেশ স্থিতিশীল না’

Mehidy Hasan Miraz
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মাঠের পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত না হলেও বিপিএলে এবার খুলনা টাইগার্সের খেলোয়াড়রা পারিশ্রমিক নিয়ে সন্তুষ্টিই জানাচ্ছেন। বাস্তবতা হলো নিয়ম অনুযায়ী পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি তারাও। তবে বাকিদের কেউ কেউ  যেখানে এক টাকাও পরিশোধ করেনি সেখানে মন্দের ভালো বলতে হয় দলটিকে। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে এবার যা হচ্ছে তা আগে কখনই হয়নি বলে মনে করেন খুলনার অধিনায়ক  মেহেদী হাসান মিরাজ। তার মতে দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি না থাকাই হয়ত এর কারণ।

নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দিতে হয় খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ২৫ শতাংশ টাকা। টুর্নামেন্টের মাঝপথে দিতে হয় আরও ৫০ শতাংশ। বাকি ২৫ শতাংশ টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেওয়ার নিয়ম।

এই নিয়ম পালন করছে না কোন দলই। দুর্বার রাজশাহী, চিটাগাং কিংস বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে এক টাকাও পরিশোধ করেনি। রাজশাহীর চেক একাধিকবার বাউন্স হওয়ার ঘটনাও ঘটে। এমন নেতিবাচক পরিস্থিতিতে কোন দল ৪০ শতাংশ টাকা দিলে সেটাকেই প্রশংসার চোখে দেখা হচ্ছে।

বুধবার অনুশীলন সেরে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মিরাজ জানান তারা এখনো অবধি ৪০ শতাংশ (পাওয়ার কথা ৭৫%)  টাকা পেয়েছেন,  'আমাদের আলহামদুলিল্লাহ ইতোমধ্যে ৪০ শতাংশ পেমেন্ট করে দিয়েছে। আর আমার সঙ্গে ইকবাল ভাইর (দলের কর্ণধার ইকবাল আল মাহমুদ) সঙ্গে কথা হয়েছে, এই সপ্তাহের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পেমেন্ট করে দেবে। প্রায় তো ৭০ শতাংশের কাছাকাছি পেমেন্ট পেয়ে যাব।'

মিরাজরা একটা অংশের টাকা পেয়ে গেছে, বাকিটাও দ্রুত পেয়ে যাওয়ার পথে আছেন। কিন্তু রাজশাহী, চিটাগাং কিংসে থাকা তার সতীর্থদের পার করতে হচ্ছে অনিশ্চিত সময়। এই ব্যাপারটাকে চরম হতাশাজনক মনে করেন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার। তার আশা বিসিবি একটা সমাধান বের করবে, 'অবশ্যই এটা খারাপ লাগছে। দিনশেষে আমরা খেলোয়াড়রা ক্রিকেট খেলি টাকার জন্য। দিনশেষে যদি পারিশ্রমিক না পাই প্রত্যেকের জন্যই খারাপ। সবাই এক দিক থেকে আশা করবে যেহেতু ক্রিকেট বোর্ড আমাদের অভিভাবক, তারা এটা নিয়ে কথা বলবে। সবার দায়িত্ব নিয়ে প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কথা বলবে। ক্রিকেট বোর্ড একটা ভালো সমাধান হবে বলে আশা করি।'

অগাস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর ক্রিকেট বোর্ডেও আসে বদল। গত আসরের একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি এবার বিপিএলে অংশ নিচ্ছে না। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে করা হচ্ছে টুর্নামেন্ট। মিরাজের মতে দেশের সার্বিক অস্থিতিশীলতার কারণেই বিপিএলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, 'এই বছর পরিস্থিতি ভিন্ন হয়েছে। দেখেন, এর আগে কখনই এমন হয়নি (পারিশ্রমিক নিয়ে এত জটিলতা)। এবারই এমন হয়েছে। সবাই যদি চিন্তা করে যে আমাদের দেশ স্থিতিশীল না এজন্য এই সমস্যাগুলো হচ্ছে। আমার মনে হয় এখানে টুর্নামেন্টটা যারা চালাচ্ছে, দায়িত্বে আছে তারা এটা নিয়ে কাজ করবে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকবে আমার মনে হয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago