মিরাজের দারুণ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ২১৭ রানের লিড

ছবি: বিসিবি

ক্রিজে ছেড়ে বেরিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টায় ঠিকঠাক টাইমিং হলো না মেহেদী হাসান মিরাজের। দারুণ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে আউট হলেন তিনি। সেইসঙ্গে থামল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। এর আগে মিরাজের ব্যাটে নিশ্চিত হলো তাদের বড় লিড পাওয়া।

বুধবার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৪৪৪ রানে। সাতে নামা মিরাজের আগে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তাদের নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানের লিড পেয়েছে স্বাগতিকরা। আগের দিন জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গিয়েছিল ২২৭ রানে।

আগের দিন বিকালে টপাটপ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়া বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায় মিরাজের ব্যাটে। লেজের দিকের ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে রান বাড়ান তিনি। দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন চার বছরের ব্যবধানে। ৭০ বলে ফিফটিতে পৌঁছানোর পর তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ১৪৩ বলে। শেষমেশ থামেন ১০৪ রানে। ১৬২ বল মোকাবিলায় ১১ চার ও ১ ছক্কা মারেন তিনি।

এর আগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই মাঠেই ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১০৩ রান। এদিন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পথে একটি অসাধারণ অর্জনেও নাম লেখান ২৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। টেস্টে এতদিন বাংলাদেশের হয়ে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের কীর্তি ছিল কেবল সাকিব আল হাসানের। সেই তালিকায় এবার নাম লেখান মিরাজ।

সিলেট আগের টেস্টে বাংলাদেশ হেরে গেলেও বল হাতে মিরাজ ছিলেন উজ্জ্বল। অফ স্পিনে দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট মিলিয়ে মোট ১০ শিকার ধরে স্পর্শ করেন সাদা পোশাকে ২০০ উইকেটের মাইলফলক। এবার বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে লাল বলের ক্রিকেটে ২০০০ রানও পূর্ণ হয়ে যায় তার। ব্যাটিংয়ে নামার আগে তিনি ছিলেন মাইলফলক থেকে ৩৬ রান দূরে।

দ্বিতীয় দিনের ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। বাকি ৩ উইকেটে আরও ১৫৩ রান যোগ করে তারা। সকালে কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টির বাগড়া দেওয়ার পর  ফেরেন তাইজুল ইসলাম। তিনি ভিনসেন্ট মাসেকেসার শিকার হলে ভাঙে মিরাজের সঙ্গে তার ৮৪ বলে ৬৩ রানের অষ্টম উইকেট জুটি। তাইজুল করেন ৪৫ বলে ২০ রান।

এরপর জমে যায় মিরাজ ও তানজিম হাসান সাকিবের জুটি। বাংলাদেশ মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় ৮ উইকেটে ৪০৪ রান নিয়ে। ফের খেলা চালুর পর ভীষণ জরুরি এই জুটি ভাঙে ১৫৬ বলে ৯৬ রানে। ওয়েসলি মাধেভেরের বলে তানজিম রিভার্স সুইপের চেষ্টায় শর্ট লেগে দেন ক্যাচ। তিনি বিদায় নেন ৮০ বলে ৪১ রানে।

তানজিম আউট হওয়ার সময় মিরাজ ছিলেন সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে। এতে জাগে কিছুটা শঙ্কা। তবে শেষ ব্যাটার হাসান মাহমুদ অন্যপ্রান্তে কিছু সময় টিকে যাওয়ায় মিরাজ পান তিন অঙ্কের স্বাদ। তাকে সাজঘরে পাঠিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন অভিষিক্ত স্পিনার স্পিনার মাসেকেসা। তার খরচা ১১৫ রান। জিম্বাবুয়ের জার্সিতে টেস্ট অভিষেকে এর আগে ৫ উইকেট নিয়েছেন কেবল অ্যান্ডি ব্লিগনাট ও জন নিয়ুম্বু।

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago