চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

লাহোর-করাচিতে খেলতে না পেরে ভারতের ব্যাটাররাই সুযোগ হারাচ্ছে: সৌরভ

Sourav Ganguly

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সেমিফাইনাল নিশ্চিতের পর থেকেই নেতিবাচক আলোচনায় পড়ে ভারত। দলটি এক ভেন্যুতে সব ম্যাচ খেলায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলতে থাকেন বিভিন্ন দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা। এই আলোচনায় যোগ দিয়ে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী বললেন, লাহোর-করাচির মতন ব্যাটিং স্বর্গে খেলতে না পারায় ভারতের ব্যাটাররাই সুযোগ বঞ্চিত হচ্ছেন।

ভারত সরকার রোহিত শর্মাদের পাকিস্তান সফরে পাঠাতে রাজী না হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হচ্ছে হাইব্রিড মডেলে। ভারতের সব খেলা রাখা হয় দুবাইতে। সব ধাপ পেরিয়ে ভারত ফাইনালে উঠে যাওয়ায় ফাইনালও হচ্ছে এই ভেন্যুতে।

মাইকেল ভন, মাইক আথারটনের মতন সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটাররা এতে ভারতের সুবিধা দেখছেন। ভ্রমণ করতে না হওয়ায়, একই কন্ডিশনে খেলায় ভারতের সুবিধাপ্রাপ্তি দেখছেন তারা। যদিও রোহিত শর্মা, গৌতম গম্ভীররা বলে আসছেন দুবাইতে তারা এত খেলেন না। সেখানে তাদের সুবিধা নেই।

ফাইনালের আগে ভারতীয় এক গণমাধ্যমে এই নিয়ে আলোচনায় যোগ দেন সৌরভ। তিনি জানান, ভেন্যু বেছে নেওয়ার পেছনে ভারতীয় দলের করার কিছু ছিলো না, 'ভারত দল তো নিজেদের পছন্দে দুবাইতে খেলছে না। তারা পাকিস্তান যেতে পারছে না, সরকার তাদের অনুমতি দেয়নি এজন্য খেলছে। এখানে তো ভারতীয় দলের কোন হাত নেই।'

সৌরভ জানান, পাকিস্তানে যেতে পারলে বরং সুবিধা পেত ভারত। আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের বেশিরভাগ সেরা ব্যাটার তাদের দলেই। এই ব্যাটাররা লাহোর, করাচির মতন পিচে খেলতে পারলে রান বন্যা বইয়ে দিতেন,  'আমি তো বলতে পারি বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ারের মতন ব্যাটারদের বরং খারাপ লাগছে লাহোর ও করাচির উইকেটে খেলতে না পেরে। আপনার প্রতিপক্ষ অন্য দলগুলো সেখানে ৩৫০ রান করছে। ইংল্যান্ড সাড়ে তিনশো করেছিল, অস্ট্রেলিয়া সেটা তাড়া করেছে। নিউজিল্যান্ড ৩৬০ করেছে। অথচ দুবাইতে ২৪০-২৫০ এরকম রান হচ্ছে।'

'কোহলি, রোহিত, শ্রেয়াস, গিলরা হয়ত ভাবছে, 'এমন উইকেট দুবাইতে পেলাম না আমরা। পেলে ত তিন-চারটা সেঞ্চুরি হয়ে যেত। পাকিস্তানের উইকেট দুনিয়ার সবচেয়ে ফ্ল্যাট। সেখানে যেতে না পেরে বরং ভারতই সুযোগ হারাচ্ছে।'

সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, আইসিসি ইভেন্টে এর আগে বাকি সব দল থেকে অনেক বেশি ভ্রমণ করে খেলেছে ভারত, 'দেখুন ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারত ৯ ম্যাচ ৯টা ভেন্যুতে খেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি  বিশ্বকাপ খেলছে ৫টা ভিন্ন শহরে।'

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যে এবার পাকিস্তানে হবে সেটা ঠিক করার কমিটিতে সৌরভ নিজেও ছিলেন। তিনি দুবাইতে খেলার বিষয় ভারত নিজে ঠিক করেনি,  'মনে আছে আমি তখন বিসিসিআইর সভাপতি ছিলাম। ২০৩১ পর্যন্ত সব বৈশ্বিক আসরের ভেন্যু ঠিক করার গ্রুপের অংশ ছিলাম। আমরাই তো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তানকে করেছিলাম। ভারতে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে। এটা (দুবাইতে খেলতে হওয়া) ভারত নিজে করেনি। তাদের পাকিস্তানে যাওয়ার উপায় নেই।'

Comments

The Daily Star  | English
Taka vs us dollar in Bangladesh

US dollar rises against taka

The American greenback was sold for as high as Tk 122.75 today, up from a high of Tk 122.30 last week

40m ago