আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানে তাকান না সাকিব, দলই সবার আগে

কোচিং স্টাফসহ স্কোয়াডের বাকি সবাই ধর্মশালায় গেলেও সাকিব আছেন আহমেদাবাদে। বুধবার সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অধিনায়কদের নিয়ে ‘ক্যাপ্টেন্স ডে’।

ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানে তাকান না সাকিব, দলই সবার আগে

ছবি: রয়টার্স

দলের সেরা তারকা তিনি। আবার তার কাঁধেই রয়েছে বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুরুদায়িত্ব। এতে বাড়তি চাপ অনুভব করা স্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ভাবনা ভিন্ন রকম। তিনি বরং এই চাপকে আলিঙ্গন করে নেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে বহু ব্যক্তিগত অর্জনের অধিকারী হলেও সেসব পরিসংখ্যানে তার নজর থাকে না। দলের সাফল্যই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের কাছে মুখ্য।

ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেশ ছেড়ে ভারতের গুয়াহাটিতে পৌঁছায় বাংলাদেশ। সেখানে শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে তারা। এবার মূল লড়াইয়ের জন্য ধর্মশালায় গিয়েছে দল। সেখানে আগামী ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে তারা। কোচিং স্টাফসহ স্কোয়াডের বাকি সবাই ধর্মশালায় গেলেও সাকিব আছেন আহমেদাবাদে। বুধবার সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অধিনায়কদের নিয়ে 'ক্যাপ্টেন্স ডে'।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী ও ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ওয়েন মরগ্যান। সেখানে সাকিবের কাছে দুজনই একটি করে প্রশ্ন রাখেন।

শাস্ত্রীর প্রশ্ন ছিল, একজন তারকা অলরাউন্ডার হিসেবে বিশ্বকাপে দলের অধিনায়কত্ব করা কতটা চাপের? সাকিব জবাব দেন, 'না, এমন (চাপ অনুভব করা) কিছু না। আমি মনে করি, এটা আমাকে সব সময়ই অনুপ্রাণিত করে আরও ভালো করার জন্য। ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনও কোনো পরিসংখ্যানের দিকে নজর রাখি না। এটা আসলে যতক্ষণ পর্যন্ত দলের জন্য অবদান রাখা যায় সেই ব্যাপার। দলই সবার আগে এবং এটাই আমার ক্যারিয়ারের মূলমন্ত্র। আর এভাবেই আমি বিষয়টাকে দেখি।'

বিশ্বকাপের জন্য দল কতটা প্রস্তুত সেটা সাকিবের কাছে জানতে চান মরগ্যান। বাংলাদেশের দলনেতা জানান, 'আমি মনে করি, আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হয়েছি। যদি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে গত চার বছরের দিকে তাকাই, বাছাইপর্বের (ওয়ানডে সুপার লিগ) পয়েন্ট তালিকায় আমরা সম্ভবত তিনে বা চারে ছিলাম (মূলত তিনে)। দল হিসেবে আমরা খুবই ভালো করেছি। এখন সময় এসেছে এই বিশ্বকাপে করে দেখানোর। আমাদের দল তৈরি। আর গোটা দেশও প্রত্যাশা করছে যে আমরা আগের চেয়ে বেশি কিছু করব।'

বিশ্বকাপের ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে অন্তত এক হাজার রান ও ৩০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি রয়েছে সাকিবের। ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও উইকেটশিকারি তিনিই। ব্যাটিংয়ে ২৯ ম্যাচে ৪৫.৮৪ গড়ে তিনি করেছেন ১১৪৬ রান। তার স্ট্রাইক রেট ৮২.২৬। দুটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ১০টি ফিফটি আছে সাকিবের। বোলিংয়ে ২৯ ম্যাচে ৩৫.৯৪ গড়ে ও ৫.১১ ইকোনমিতে ৩৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একবার করে পেয়েছেন ৪ উইকেট ও ৫ উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

From 2019 to 2025: How Ducsu election shows change

With this Ducsu poll being the first since the July uprising, I decided to witness history with my own eyes -- this time as a journalist and alumnus

11m ago