আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

আফগানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা

জ্বলে উঠেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।

আফগানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা

বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান

এক প্রান্তে উইকেট তুলে নিতে পারলেও অপর প্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তার পরিসংখ্যান তাই বলে। তবে তাকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর দ্রুত মোহাম্মদ নবি ও নাজিবুল্লাহ জাদরানকে তুলে আফগানদের রীতিমতো চেপে ধরেছে টাইগাররা

শনিবার ভারতের ধর্মশালায় আইসিসি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছে আফগানিস্তান। আজমতুল্লাহ ওমরজাই ১২ ও রাশিদ খান ১ রানে উইকেটে আছেন।

আফগানিস্তানের হয়ে এর আগের ১১ ইনিংসের দুটিতে ত্রিশের বেশি রান করতে পেরেছিলেন গুরবাজ। সে দুইবারই সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ভীতি ছড়াচ্ছিলেন এই ব্যাটার। এদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে এক হাজার রানও পূর্ণ করেন তিনি। যা দেশটির হয়ে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড। তবে বড় ক্ষতি করার আগে তাকে ছাঁটাই করেন মোস্তাফিজ। অবশ্য ডিপ কাভার থেকে ছুটে এসে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তানজিদ হাসান। ৬২ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৭ রান করেন গুরবাজ।

এরপর দ্রুত নাজিবুল্লাহকেও ফেরায় বাংলাদেশ। তাকে ছাঁটাই করে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। তার বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান নজিবুল্লাহ (৫)। নবিও (৬) দায়িত্ব নিতে পারেননি। তাসকিন আহমেদের অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে কাট করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প ভাঙে নবির। ফলে বড় চাপে পড়ে যায় আফগানরা। লেজ বেরিয়ে আসে দলটির।

এদিন শুরুতে বাংলাদেশি পেসারদের স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছিলেন আফগান ওপেনাররা। তবে স্পিনার আসার পরই কিছু অস্বস্তি অনুভব করতে থাকে তারা। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পান সাকিব। অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে সুইপ করেছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। ব্যাটে কানায় লেগে ক্যাচ যায় ডিপ স্কয়ার লেগে। সে ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল করেননি তানজিদ হাসান। ভাঙে ৪৭ রানের জুটি। ২৫ বলে একটি ছক্কা ও তিনটি চারে ২২ রান করেন ইব্রাহিম।

এরপর রহমান শাহকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন গুরবাজ। ৩৬ রানের জুটিও গড়েন তারা। এ জুটিও ভাঙেন সাকিব। তাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়েছিলেন রহমত। টাইমিংয়ে হেরফের করে সিলি মিড অফে সহজ ক্যাচ নেন লিটন দাসের হাতে। ২৫ বলে এক চারে ১৮ রান করেন রহমত। এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদি। কিছুটা মন্থর গতিতে আগাতে থাকেন তারা। ৫৭ বলে ২৯ রানের এ জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে স্লগ করতে গিয়ে আকাশে তুলে তাওহিদ হৃদয়ের তালুবন্দি হন তিনি। ৩৮ বলে ২টি চারে ১৮ রান করেন শাহিদি।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

4h ago