আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

ডুসেন-ডি ককের দ্বিশতক জুটিতে প্রোটিয়াদের ৩৫৭ রানের পুঁজি

দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপকে থামানো যায় কীভাবে? পুনেতে সেই প্রশ্নের উত্তরই যেন খুঁজেছে নিউজিল্যান্ড!

ডুসেন-ডি ককের দ্বিশতক জুটিতে প্রোটিয়াদের ৩৫৭ রানের পুঁজি

নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ছবি: এএফপি

দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপকে থামানো যায় কীভাবে? পুনেতে সেই প্রশ্নের উত্তরই যেন খুঁজে পেল না নিউজিল্যান্ড! ফর্মের তুঙ্গে থাকা কুইন্টন ডি কক চলতি বিশ্বকাপে চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। রাসি ফন ডার ডুসেনও শতক হাঁকিয়ে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন। তাদের দুইশ রানের জুটিতে ভর কর শেষে ঝড় তুলে প্রোটিয়ারা পেয়েছে ৩৫৭ রানের বিশাল পুঁজি। 

বিশ্বকাপের স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হেরে বড় ধাক্কা খেয়েছে নিউজিল্যান্ড। বুধবার টস জিতে বোলিং নিয়ে তারা শুরু করেছিল দুর্দান্ত। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শেষে স্বস্তিতে থাকতে পারছে না দলটি।

প্রথম ৫ ওভারে ২২ রানের বেশি দেয়নি কিউইরা। নবম ওভারে টেম্বা বাভুমাকেও ফিরিয়েও দেয় তারা। ট্রেন্ট বোল্টের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ফিরে যান ২৮ বলে ২৪ রানে। আঁটসাঁট বোলিংয়ে একপাশে কিউই বোলাররা বেঁধে রেখেছিলেন বিধ্বংসী ডি ককের ব্যাটের লাগাম। তবে ধীরগতিতে শুরু করা বাঁহাতি ওপেনারই পরে তাদের কাল হয়ে ওঠেন।

৬২ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ডি কক। প্রথম ১০ ওভারে ৪৩ আনা দক্ষিণ আফ্রিকা ২১তম ওভারেই দলীয় শতরান পেরিয়ে যায়। আরেক প্রান্তে ফন ডার ডুসেনও শুরু করেছিলেন কিছুটা মন্থর গতিতে। তবে ফিফটি ছুঁতে বল নেন ৬১টি। ডি ককের সঙ্গে তার দ্বিতীয় উইকেট জুটিটা ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে এরপর। ৩৬ ওভারেই দুইশ পেরিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ডি কক চলতি বিশ্বকাপের চতুর্থ শতক পেয়ে যান ১০৩ বলে।

সেই দলীয় ৩৮ রানে জুটি বাঁধা ডি কক ও ডুসেনের কাউকেই আউট করার পথ খুঁজে পাচ্ছিল না কিউইরা। নবম ওভারে অবশ্য ডি ককের আউট হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু টিম সাউদির বলে গ্লেন ফিলিপস দুরূহ ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি। ডি কক তখন ছিলেন ব্যক্তিগত মাত্র ১২ রানে।

ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে প্রবেশের আগেই ডি কক-ডুসেনের জুটি দুইশ ছুঁয়ে ফেলে। কিন্তু ওখানেই থেকে ২৩৮ রানে ভেঙে যায় জুটিটি। ডি কক পয়েন্টে সাউদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ১১৬ বলে ১১৪ রানের ইনিংস খেলে। তার ইনিংসে ছিল ১০ চার ও ৩ ছক্কার মার।

নিউজিল্যান্ডের বিপদ আরও বাড়িয়ে দেয় পেসার ম্যাট হেনরির চোট। নিজের ষষ্ঠ ওভার করার সময়ে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৫.৩ ওভার করে চলে যাওয়া হেনরির বোলিং কোটা পূর্ণ করতে চিন্তায় পড়তে হয় কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামকে। জিমি নিশাম ও ফিলিপসেই ভরসা রাখেন ল্যাথাম। তবে শেষ ১০ ওভারে চলে প্রোটিয়া ঝড়।

১০১ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো ডুসেন ১৩৩ রানে সাউদির বলে শেষমেশ বোল্ড হয়ে যান। ১১৮ বলের দুর্দান্ত ইনিংসে মারেন ৯ চার ও ৫ ছয়। চারে নামা ডেভিড মিলারও তাণ্ডব চালান। ২ চারের সাথে ৪ ছক্কায় ২৯ বলেই ফিফটি হাঁকিয়ে ফেলেন। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে আউট হয়ে যান মিলার। ৩০ বলে ৫৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

শেষ বলে এইডেন মার্করাম ক্রিজে এসেই ছক্কা মেরে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ আরেকটু বাড়িয়ে নেন। ৪ উইকেটে ৩৫৭ রানে থামে তারা। শেষ ১০ ওভারেই দলটি তোলে ফেলে ১১৯ রান। হেইনরিখ ক্লাসেন অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ১৫ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

7h ago