'এটা ছিল অনেকটা ভাল্লুককে খোঁচা দেওয়ার মতো'

ছবি: এএফপি

ভাল্লুককে খোঁচা দিলে পরিণতি কেমন হবে? নিঃসন্দেহে ভালো কিছু নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তেমনটাই কি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ দলগুলোর ক্ষেত্রে? হ্যাঁ, অ্যারন ফিঞ্চ অন্তত সেটাই মনে করেন। প্রতিপক্ষরা অবশ্য খোঁচা দেয়নি। তবে বিশ্বকাপের আগে আইপিএলে বাজে পারফর্ম করায় ডেভিড ওয়ার্নার ফুরিয়ে গেছেন, এমন রব তুলেছিলেন সমালোচকরা। তাদের এসব তির্যক বাক্যবাণই ওয়ার্নারকে তাতিয়ে দিয়েছিল বলে জানান অজি অধিনায়ক ফিঞ্চ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ওয়ার্নার। সুপার টুয়েলভে ছন্দে থাকার পর সেমিফাইনাল ও ফাইনালে দুটি কার্যকর ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে। ধারাবাহিকভাবে ও প্রয়োজনের মুহূর্তে নজরকাড়া পারফরম্যান্স উপহার দেওয়ার যথাযোগ্য স্বীকৃতিও মিলেছে তার। এবারের বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার সাত ম্যাচের সবকটিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মোট ২৮৯ রান করেছেন ওয়ার্নার। এই বাঁহাতি তারকা ওপেনারের গড় ৪৮.১৬ ও স্ট্রাইক রেট ১৪৬.৭০। রোববারের ফাইনালসহ মোট তিন ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন তিনি। আরেকটি ফিফটিও পেতে পারতেন। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আউট হয়ে যান ৪৯ করে। অথচ বিশ্বকাপের আগে ফর্ম নিয়ে দুর্দশার মধ্যে ছিলেন ওয়ার্নার। আইপিএলের সবশেষ আসরে আট ম্যাচে ২৪.৩৭ গড় ও ১০৭.৭৩ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ১৯৫ রান করেন তিনি। এক পর্যায়ে জায়গা হারিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের একাদশ থেকেও।

আইপিএলে ব্যাট হাতে বিবর্ণ থাকায় ওয়ার্নারকে সইতে হয় তীব্র সমালোচনা। বিশ্বকাপের আগে যা মোটেও কাম্য নয় কোনো ক্রিকেটারের। তবে দুঃসময় পেছনে ফেলে সামর্থ্যের ছাপ রেখে বিশ্বমঞ্চে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ান তিনি। তাই তো ফাইনালের পর অস্ট্রেলিয়ার দলনেতা ফিঞ্চ বলেন, 'বিশ্বাসই করতে পারছি না যে কয়েক সপ্তাহ আগেও মানুষ ওকে (ওয়ার্নার) বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিল। এটা ছিল অনেকটা ভাল্লুককে খোঁচা দেওয়ার মতো।'

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। একপেশে লড়াইয়ে ৮ উইকেট ও ৭ বল হাতে রেখে ১৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য অনায়াসে পেরিয়ে গেছে তারা। ৫০ বলে অপরাজিত ৭৭ রান করায় মিচেল মার্শ হয়েছেন ম্যাচসেরা। তবে ওপেনিংয়ে নেমে ৩৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ওয়ার্নারই।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

3h ago