পর্দা নামল টোকিও অলিম্পিকের

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়েই এবার আসর শুরু হয়েছিল টোকিওতে। তার উপর মাঠের খেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর আগেই ভিলেজে হানা দেয় এ ভাইরাস। তাতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিল এ আসর। সব শঙ্কা কাটিয়ে সফলভাবেই অনুষ্ঠিত হয় এবারের অলিম্পিক। আর রোববার ভাঙে এ মিলনমেলা।

রোববার টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ঢাউস মশাল নিভিয়ে শেষ হয় এবারের আসর। ১৬ দিনে নিষ্পত্তি হয় ৩৩৯টি পদকের। তবে অতিমারির কারণে প্রায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই হয় প্রায় সবগুলো ইভেন্ট।

শেষদিনে আইওসি প্রেসিডেন্ট টমাস বাখের হাতে অলিম্পিকের পতাকা তুলে টোকিওর মেয়র ইউরিকো কোইকে। এরপর আগামী আসরের আয়োজক শহর প্যারিসের মেয়র আন হিদালগুর হাতে সে পতাকা তুলে দেন বাখ।

অন্যান্য আসরের তুলনায় এবার টোকিওতে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। স্বর্ণ প্রাপ্তির সংখ্যা দুই অংক স্পর্শ করতে পেরেছে ১০টি দেশ। ৬৫টি দেশ স্বর্ণ জয়ের স্বাদ পেয়েছে। আর ৯৩টি দেশ পেয়েছে কমপক্ষে একটি পদক।

পুরো আসর জুড়ে চীন শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও শেষ দিনে হয় নাটকীয়তা। তাদের ছাপিয়ে শীর্ষে উঠে যায় বরাবরের ফেভারিট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৩৯টি সোনা, ৪১টি রুপা ও ৩৩টি ব্রোঞ্জসহ ১১৩টি পদক তাদের। অলিম্পিকে নিজেদের সেরা সাফল্য পায় স্বাগতিক জাপান।

আরও নানা চমকই ছিল টোকিওতে। ইতিহাস গড়ে ছেলেদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতে নেন ইতালির ল্যামন্ত মার্সেল জ্যাকবস। প্রথম নারী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার এমা ম্যাককেয়ন এক আসরে পেয়েছেন ৭টি পদক। ৩৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে দ্রুততম মানবী জ্যামাইকার ইলেইন টম্পসন-হেরা।

এছাড়া ইতালির তাম্বেরি জিয়ানমার্কোর সঙ্গে স্বর্ণ ভাগাভাগি করে অনন্য কীর্তি গড়েছেন কাতারের মুতাজ ঈসা বারশিম। ৩৩৯টি স্বর্ণের নিষ্পত্তি হওয়ার থাকলেও তাই বেড়ে যায় একটি। জিমনাস্টিকে স্বাগতিকদের হয়ে ডাবল স্বর্ণ জয়ের ইতিহাস দাইকি হাশিমতোর। সবমিলিয়ে এবারের আসরে ভিন্ন স্বাদই পেয়েছেন সমর্থকরা।

তবে অলিম্পিকের এ আসর শেষ হলেও ভক্তদের খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে নতুন আরেকটি অলিম্পিকের জন্য। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শীতকালীন অলিম্পিক। তবে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে তিন বছর। ২০২৪ সালে প্যারিসে বসবে সে আসর।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago