নারাইন আমাদের কাছ থেকে ম্যাচ কেড়ে নিয়েছে: সাকিব

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

২৩ বলে ৫৭ রান। সুনীল নারাইনের তোপেই পাওয়ার প্লেতে ৭৩ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মূলত, তার ইনিংসের ভিত্তিতেই মাঝারি পুঁজি পায় দলটি। অন্যথায়, একশ রান করাও কষ্ট হয়ে যেত তাদের। শুধু তাই নয়, ফরচুন বরিশাল যখন সহজ জয়ের পথে হাঁটছিল, তখনও বাধা হয়ে দাঁড়ান এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে দারুণ অবদান রাখায় জয়ের নায়ক তিনিই।

জমজমাট ফাইনাল শেষে কুমিল্লার জয়ে নারাইনকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অনেকটা আক্ষেপ জড়ানো কণ্ঠে তিনি বলেছেন, 'সে (নারাইন) যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সে-ই ম্যাচটা আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে।'

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লার কাছে মাত্র ১ রানে হেরেছে বরিশাল। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে হেরেছে তারা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রান করেছিল কুমিল্লা। সে লক্ষ্য তাড়ায় এক পর্যায়ে ২ উইকেটে ১০৭ রান তুলে ফেলছিল বরিশাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।

মূলত, দুই দলের মধ্যে মূল পার্থক্যই ছিলেন নারাইন। ৫৭ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলার পর ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৫ রান খরচ করে নিয়েছেন মূল্যবান ২টি উইকেট। তাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও মিলেছে তার।

বাংলাদেশের শীর্ষ তারকা সাকিব যোগ করেছেন, 'হ্যাঁ, আমার মনে হয়, সুনীলের সেই টপ-ক্লাস ইনিংসের পর আমরা সত্যিই ভালোভাবে ফিরে এসেছি। সে যেভাবে ব্যাটিং করেছে... সেই পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। টুর্নামেন্ট জুড়ে তারা সত্যিই ভালো বল করেছে।'

কুমিল্লা শেষদিকে স্নায়ুচাপ যেভাবে সামাল দিয়েছে, সেটাকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন সাকিব, 'হ্যাঁ, খুব ভালো ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে। দুই দলই অনেক ভুল করেছে। শেষ পর্যন্ত... কৃতিত্ব কুমিল্লার প্রাপ্য, তারা তাদের স্নায়ু চাপ ধরে রেখে ম্যাচ জিতেছে। আমি যেমন বলেছি, কৃতিত্ব কুমিল্লার। তারা যেভাবে স্নায়ু চাপ ধরে রেখেছে। শেষ ২-৩ ওভারে বল করা সহজ ছিল না। শেষদিকে শহিদুল দারুণ বোলিং করেছে। তাকে ব্যাক-আপ দিয়েছে মোস্তাফিজ। সুনীলও আজ সত্যিই ভালো বোলিং করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

3h ago