বিপৎসীমার ওপরে ধরলার পানি, ২ জেলার ১২ গ্রাম প্লাবিত

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ডুবতে শুরু করেছে ধরলা-তীরবর্তী গ্রামগুলো। ছবি: স্টার

বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাট সদর ‍উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে করে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, কুলাঘাট ও বড়বাড়ী, আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর এবং কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার শিমুলবাড়ী ও হলোখানা ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের বসতভিটায় পানি ঢুকে পড়ছে। পানিতে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে মোগলহাট ইউনিয়নের ফলিমারী গ্রাম।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, আজ দুপুর ১২ টা থেকে শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ৩১ মিটার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে, যা বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপরে।

পানিতে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত ফলিমারী গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্রামের শতাধিক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক বাড় ৩-৪ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রামের রাস্তাঘাটও এখন পানির নিচে।'

মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জোনাব আলীর আশঙ্কা, ধরলা নদীর পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। এ অবস্থায় ঝুঁকিপুর্ণ এলাকাগুলোর লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, 'ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধিতে এই ইউনিয়নই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের তালিকা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।'

নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের ভাষ্য, উজানে ভারত থেকে পানি আসার কারনে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ধরলাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

13h ago