ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইটের ট্রানজিট ম্যানচেস্টারে নয়, ইস্তাম্বুল বা অন্য কোথাও: বিমান

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-টরন্টো রুটে ফ্লাইটের ট্রানজিট কোথায় হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

বিমানের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, টরন্টো রুটে ম্যানচেস্টারকে ট্রানজিট হিসেবে বেছে নেওয়ার আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। এর পরিবর্তে ইস্তাম্বুল বা অন্য কোনো উপযুক্ত স্থানে ট্রানজিট নেওয়া হতে পারে।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা কামাল গত সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এপ্রিলের শেষে বিমানের এমডি আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা ম্যানচেস্টারে 'টেকনিক্যাল স্টপওভার' করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এখন আবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে বিমান জানালো, তারা বিভিন্ন কারণে ম্যানচেস্টারে 'স্টপওভার' দেওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে।

সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে বিমানের এমডি বলেন, তারা জানতে পেরেছেন যে ম্যানচেস্টারে অবতরণের পর লাগেজ আনলোড করতে হবে এবং তারপর যাত্রীদের নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্য এক টার্মিনাল থেকে অন্য টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তারা কানেক্টিং ফ্লাইটে উঠতে পারবে। এতে সময় ও খরচ দুটোই বাড়বে।

তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছাতে পারাকে অপেশাদারিত্ব ও দক্ষতার অভাব হিসেবে দেখছেন এ খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা-টরন্টো-ঢাকা রুটে 'পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক' ফ্লাইটের কথা বলে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করার পর, বিমান গত এপ্রিলের শুরুতে জানিয়েছিল যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রুটে বাণিজ্যিক কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই চালানো হয়েছে।

মার্চের শেষে বিমান জানায়, সম্ভাব্যতা পর্যালোচনার জন্য এবং এই দীর্ঘ রুটের সুবিধা-অসুবিধা মূল্যায়নে একটি ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির প্রধান করা হয়েছিল বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন এ বি এম ইসমাইলকে।

২৬ মার্চ বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিমান ও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রায় ৩৫ জন কর্মকর্তাকে নিয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমান টরন্টো রুটে পরীক্ষামূলক সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

পরে তারা জানায়, এই রুটে ফ্লাইট বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর হবে না।

ওই ফ্লাইট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বিমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, টরন্টো রুটে সরাসরি ফ্লাইট বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর হবে।

কিন্তু ফ্লাইটের দুই দিন পর বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের আগের বক্তব্য থেকে সরে আসে নেয় এবং ওই রুটের বাণিজ্যিক কার্যকারিতা সম্পর্কে বিপরীত বক্তব্য দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

1h ago