শুভ জন্মদিন, ম্যাশ!

মাশরাফি বিন মর্তুজা
মাশরাফি বিন মর্তুজা

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্মদিন আজ।

মর্তুজা ১৯৮৩ সালের ৫ই অক্টোবর নড়াইলে জন্মগ্রহন করেন। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক দিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয় এই খেলোয়াড়ের। কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম সারির পেস বোলার হয়ে ওঠেন তিনি। বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্তদের কাছে তিনি ‘নড়াইল এক্সপ্রেস নামে পরিচিত।

বাংলাদেশের উইকেট অপেক্ষাকৃত ধীর গতির যেখানে স্পিনাররাই বেশি সুবিধা পান। ঘরোয়া ক্রিকেটেও আধিপত্য বিস্তার করে রাখেন স্পিন বোলাররা। কিন্তু মাশরাফি যেন ব্যতিক্রম। ১৬১ ম্যাচ খেলে ২০৮ উইকেট নেয়া পেস বোলার মাশরাফি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে উইকেট শিকারী।

মাশরাফি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সফল একজন অধিনায়ক। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। শুরুটা দারুণ হয়েছিল। মাশরাফির অধিনায়কত্বে প্রথম টেস্টেই বাংলাদেশ হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। দেশের বাইরে সেটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। যদিও হাঁটুতে চোট পেয়ে শেষ দিন আর ফিল্ডিং করতে পারেনননি তিনি।

মাশরাফির ক্যারিয়ারে ইনজুরি যেন নিত্যসঙ্গী। বেশ কয়েকবার ক্রিকেট থেকে ছিটকে গেছেন ইনজুরির কারণে। কিন্তু ফিরে এসেছেন বারবার।

অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির সাফল্য চোখে পড়ার মত। ২৮টি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশকে যার মধ্যে ২০টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টি-টুয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে জয় পেয়েছেন নয় বার। আর টেস্টে তো শত ভাগ সাফল্য! একটা ম্যাচেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ম্যাশ, সেটাতে জয় পায় বাংলাদেশ। কেনিয়ার বিপক্ষে ২৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট ওয়ানডেতে তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।

ওয়ানডেতে দশবার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন ম্যাশ। দুবার হয়েছেন ম্যান অফ দ্যা সিরিজ। আর টি-টুয়েন্টিতে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন দুবার।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

8h ago