ইমরানের ইনিংসের পতন

ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে শনিবার অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমরান খানের বিপক্ষে ১৭৪টি ভোট পড়েছে। খবর জিও নিউজ।

ভোটে হেরে যাওয়ার পর ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলো।

পার্লামেন্টের ৩৪২ আসনের মধ্যে ইমরান খানের সরকারের পতনের জন্য ১৭২ জনের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। এর বিপরীতে ভোট পড়েছে ১৭৪টি।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটির আগে স্পিকার আসাদ কায়সার তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে চেয়ার প্যানেলের সদস্য আয়াজ সাদিক অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।

ভোট শেষে আয়াজ সাদিক ঘোষণা করেন, ১৭৪ জন সদস্য এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে পার্লামেন্টে পাস হয়েছে।

পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরীফ, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি, পিএমএল-এন সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজসহ অনেকে।

উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এরপর ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার। প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির জন্য ৩ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব 'অসাংবিধানিক' ঘোষণা দিয়ে খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। একইসঙ্গে অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তিনি।

টানা ৫ দিনের দীর্ঘ শুনানি শেষে ওই অনাস্থা ভোট খারিজ ও জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতভাবে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চ। একইসঙ্গে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর শনিবার ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, অনাস্থা প্রস্তাবের সুরাহা না করা অবধি পার্লামেন্টের অধিবেশন মুলতবি করা যাবে না।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

A Bangladeshi woman has alleged that India’s Border Security Force (BSF) tied empty plastic bottles to her and her three daughters to keep them afloat, then pushed them into the Feni river along the Tripura border in the dark of night, in a chilling account of abuse at the border.

5h ago