অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশই সেরা: আইওএম

আইওএম এর উপ মহাপরিচালক উগোচি ড্যানিয়েলস আজ ঢাকায় একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন। ছবি: সংগৃহীত

সামগ্রিক অভিবাসন ব্যবস্থাপনা এবং নিয়মিত অভিবাসন চালুর মাধ্যমে ক্রমশ অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধ করার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

এ ব্যাপারে সংস্থাটির উপ মহাপরিচালক উগোচি ড্যানিয়েলস বলেছেন, অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সত্যিই সেরা। আপনাদের সরকার অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় অনেক বড় কিছু করেছে।

ড্যানিয়েলস আজ মঙ্গলবার ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।

আজ ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড্যানিয়েলস শ্রমশক্তি রপ্তানিতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এটি অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধে সাহায্য করবে। তিনি বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর আগে তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন এবং অভিবাসনের মূল কারণ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা ও জীবিকা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

ড্যানিয়েলস বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে গেছেন। তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যেভাবে অবদান রেখেছে তেমনি তারা যে দেশে গেছেন সে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন।

প্রবাসী শ্রমিক পাঠানোর দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে রেমিট্যান্স আসার দিক থেকে অবস্থান অষ্টম।

বিদেশ থেকে ফিরে আসা ১ লাখ ৩০ হাজার শ্রমিককে সমাজে পুনরায় অন্তর্ভুক্তিতে আইওএম সহায়তা করেছে। এছাড়া, নলেজ ট্রান্সফার, অভিবাসন, সহযোগিতা, তথ্য ও পুনঃএকত্রিকরণের মাধ্যমে আইওএম ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

রোহিঙ্গা ইস্যু

রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে ড্যানিয়েলস বলেন, আন্তর্জাতিক সব ধরনের চেষ্টার মাধ্যমে শুধু রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার ইস্যু নয়, বাস্ত্যুচ্যুতির সব সমস্যার অবসান করতে সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, এই বাস্তুচ্যুতির সমস্যা থেকে উত্তরণে এখন সম্পূর্ণ একটি প্রক্রিয়া জারি আছে। বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক স্তরে ভূমিকা রাখবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় সমস্যার মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় তহবিলের ঘাটতি তৈরি হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তহবিল পেতে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে এটা শুধু রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে নয়। আফগানিস্তান ও ইউক্রেনের সংকট নিয়ে দাতাদেরও অগ্রাধিকার থাকে।

বাংলাদেশের নিজস্ব সমস্যার মধ্যেও ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান উগোচি ড্যানিয়েলস।

তিনি বলেন, এই সংকটের শুরু থেকেই বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় সসম্মানে মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে বিপুল পরিমাণ সহায়তা দিয়ে যেতে হবে। আইওএম একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মিটিয়ে যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

14 killed as police open fire on Gen Z protest in Nepal

Police used live ammunition, tear gas, and water cannons against protesters demonstrating against social media restrictions and corruption

1h ago