পাওনা টাকার দাবিতে বিজেএমসি কার্যালয় ঘেরাও

ছবি: সংগৃহীত

একযোগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৬টি পাটকলের মধ্যে ৫টি কারখানার শ্রমিকদের এখনও কোনো টাকা পরিশোধ করা হয়নি জানিয়ে শ্রমিকদের একটি সংগঠন পাওনা টাকার দাবিতে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে।

আজ সোমবার এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

'পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য' সংগঠনের দাবি, খালিশপুর জুটমিল, দৌলতপুর জুটমিল, জাতীয় জুটমিল, আরআর জুটমিল ও কেএফডি নামে ৫টি পাটকলের শ্রমিকদের কোনো পাওনা টাকা পরিশোধ করা হয়নি। অথচ ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিলের এক নোটিশে দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিকসহ সবাইকে মজুরি স্লিপ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

ওই বছরের ২ জুলাই সরকার একযোগে ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণা করে দেয়। ফলে কর্মহীন হন ৭০ হাজার শ্রমিক।

আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়ক রুহুল আমিন তার বক্তব্যে দাবি করেন, এই ৫টি পাটকলের শ্রমিক ছাড়াও নাম সংক্রান্ত জটিলতা ও মামলা জটিলতায় বহু শ্রমিক এখনও বকেয়া বেতন পাননি।

'শ্রমিকের বকেয়া পাওনা পরিশোধ ও বন্ধ পাটকল চালুর দাবিতে' আয়োজিত এই কর্মসূচিতে ‍তিনি আরও বলেন, 'যে লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে সরকার পাটকল বন্ধ ঘোষণা করেছে, তার পেছনে শ্রমিকরা কোনোভাবেই দায়ী নয়। সরকারের ভুল নীতি, অব্যবস্থাপনা ও বিজেএমসির দুর্নীতির কারণে পাটকলে লোকসান হয়েছে। অথচ সেই বিজেএমসি বহাল রেখে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে শ্রমিকদের পাটকল থেকে বের করে দেওয়া হয়।'

'সরকার পাটকল বন্ধের সময় ২ মাসের মধ্যে শ্রমিকদের সমস্ত বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে ৩ মাসের মধ্যে পুনরায় পাটকল চালুর ঘোষণা দিলেও সেটি কথার কথা রয়ে গেছে। ২৬টি পাটকলের মধ্যে মাত্র ২টি-- বাংলাদেশ জুটমিল ও কেএফডি জুটমিল আংশিকভাবে লিজের মাধ্যমে চালু করা হলেও, সেখানে কোনো পুরনো শ্রমিককে নেওয়া হচ্ছে না। বেতন দেওয়া হচ্ছে দৈনিক মাত্র ২৪০-২৮০ টাকা', যোগ করেন তিনি।

তিনি অবিলম্বে পাটকলগুলো আবার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চালু করার দাবি জানান।

আয়োজক সংগঠনের খালিশপুর জুটমিল কারখানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে খালিশপুর জুটমিল শ্রমিক নেতা শফিউদ্দিন সফি, আমিন জুটমিল কারখানা কমিটির সভাপতি মো. হানিফ, সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির, স্টার জুটমিলের শ্রমিক নেতা আলমগীর হোসেন, ক্রিসেন্ট জুটমিলের শ্রমিক নেতা মোশাররফ হোসেন, জাতীয় জুটমিল শ্রমিক-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের আহ্ববায়ক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মতিঝিলের বিজেএমসি কার্যালয়ের সামনে যান। সেখানে সমাবেশ ছাড়াও সংহতি জানিয়ে নাটক পরিবেশন করে থিয়েটার বায়ান্নো।

Comments

The Daily Star  | English
Largest Islamic bank in the making

Largest Islamic bank in the making

The five banks slated for consolidation are First Security Islami Bank, Union Bank, Global Islami Bank, Social Islami Bank and Exim Bank.

10h ago