বিদ্যুতে কত ভর্তুকি আমরা দেবো: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনাদের অনুরোধ করবো বিদ্যুৎ ব্যয়ে সাশ্রয়ী হবেন, সীমিত রাখবেন। তাতে আপনারও লাভ হবে। আপনার বিলও কম উঠবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম সব ঘরে বিদ্যুৎ দেবো, সেই বিদ্যুৎ কিন্তু আমরা দিতে পেরেছি। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। তার ওপর রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ কারণে তেল, ডিজেল, ভোজ্য তেল, সারের দাম বেড়ে গেছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেছে। শুধু তাই না, যেসব শিপমেন্ট হয় তার ভাড়াও বেড়ে গেছে। যেটা হয়তো ৮০০ কোটি টাকায় পেতাম সেটা এখন আমাদের ২ হাজার কোটি টাকা কখনো তারও বেশি ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কোটির বেশি লেগে যাচ্ছে। আমরা এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করতাম, তার দাম বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন আমাদের নিজস্ব সামান্য গ্যাস আর এলএনজি আমদানি এবং আমরা কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো করে দিচ্ছিলাম, যাতে শত ভাগ দিতে পেরেছি। ডিজেল এবং ফার্নেস অয়েল দিয়ে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম কিন্তু বেড়ে গেছে। বিদ্যুতে কিন্তু মোটা অংকের সাবসিডি দিতে হচ্ছে আমাদের। অনেক বেশি ভর্তুকি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে খরচ আমরা কিন্তু গ্রাহকের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত সে খরচও নিতে পারি না। কিন্তু কত ভর্তুকি আমরা দেবো? যেখানে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা।

দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে ক্ষেত্রে আপনাদের অনুরোধ করবো বিদ্যুৎ ব্যয়ে সাশ্রয়ী হবেন, সীমিত রাখবেন। তাতে আপনারও লাভ হবে। আপনার বিলও কম উঠবে। সেদিকে নজর দেন, সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। গাড়ি-ঘোড়া চলায় তেলের ক্রাইসিস সারা বিশ্বব্যাপী। আমরা কতদিন চালাতে পারবো সেটা হচ্ছে বড় কথা। কারণ যেখানে উৎপাদন হচ্ছে সেখানে দাম বেড়ে যাচ্ছে আনা-নেওয়ায়, যুদ্ধের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবু আমরা থেমে থাকিনি। যেভাবে হোক, আমরা ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। অন্তত যেটুকু আছে সেটাই আমাদের নিজেদের সাবধান হয়ে ব্যবহার করতে হবে যেন আমরা অতিরিক্ত ব্যয় না করি।

অহেতুক ঘোরাঘুরি করে পেট্রোল পোড়াবেন না, তেল পোড়াবেন না। সে দিকে লক্ষ রাখবেন। যত কম বাইরে যাওয়া যায় সেটার ব্যবস্থা রাখবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, কাজে বিদ্যুৎ আমাদের যেটুকু থাকবে তাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে আপনারা যে সুযোগটা পাবেন সেটাই ব্যবহার করবেন বেশি। এখন সমগ্র বাংলাদেশে আমরা ব্রডব্র্যান্ড পৌঁছে দিয়েছি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন করেছি। অনলাইনে এখন কেনা-বেচা বা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক কাজ ঘরে বসেই করা যায়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Atif Aslam, December, and erasure of historical consciousness

Culture reveals what a society chooses to remember, and what it finds acceptable to forget

19m ago