ভাড়া কমিয়েও যাত্রী সংকটে ঢাকা-পটুয়াখালী রুটের লঞ্চ

পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনাল। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে পটুয়াখালী যাচ্ছে বাস। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পটুয়াখালী-ঢাকা নৌরুটের লঞ্চে। এই রুটে কমতে শুরু করেছে যাত্রী। প্রথম শ্রেণির কেবিন বুকিং নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে। ভাড়া কমিয়ে দেওয়ার পরও লঞ্চগুলো তেমন যাত্রী পাচ্ছে না।

তবে লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা এখনই সেতুর কারণে যাত্রী কমছে, এটা মানতে নারাজ। ঈদের পর প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে বলে জানান তারা।

আজ শনিবার পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে দুটি বিলাসবহুল লঞ্চ সুন্দরবন-১৪ ও এমভি প্রিন্স আওলাদ-৭ পটুয়াখালী এসেছে। এসব লঞ্চে আগের মতো ভিড় নেই।

ছবি: সোহরাব হোসেন/ স্টার

পটুয়াখালীতে সুন্দরবন লঞ্চের বুকিং ম্যানেজার আবু জাফর মৃধা জানান, এই দুটি লঞ্চে প্রায় ২৫০টি কেবিন আছে। তবে অর্ধেকের বেশি কেবিন ছিল ফাঁকা। ডেকেও তেমন যাত্রী ছিল না। পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর যাত্রী কমে গেছে।

তিনি জানান, আগে সিঙ্গেল কেবিন ১৫০০ ও ডাবল কেবিন ২৮০০ টাকা ছিল তবে তা এখন কমে সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার টাকা ও ডাবল কেবিন ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডেক যাত্রীদের ভাড়া ৪০০ টাকা থেকে কমিয়ে নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা।

এমভি প্রিন্স আওলাদ-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার মিলন মোল্লা বলেন, 'পদ্মা সেতু চালু হয়েছে মাত্র, মানুষ এখন বাসে কিছুটা বেশি যাতায়াত করছেন। লঞ্চের ১০৪টি কেবিনের মধ্যে ৪০টি বুকিং হয়েছে। তবে পদ্মা সেতুর চালুর প্রভাব লঞ্চের যাত্রীদের ক্ষেত্রে কতটা পড়বে পরবে তা ঈদের পরেই তা বোঝা যাবে।'

বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় ঢাকা থেকে গ্রীন লাইন পরিবহনে পটুয়াখালী আসা মো. মিলনের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'আগে লঞ্চে যাতায়াত করতাম। তবে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ায় বাস ৫ ঘণ্টায় চলে আসছে। অথচ লঞ্চে ১০-১১ ঘণ্টা লাগে। তাই বাসেই পদ্মা সেতু পার হয়ে পটুয়াখালী এলাম।'

আগে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে প্রতিদিন ৪টি করে দোতলা লঞ্চ যাতায়াত করলেও এখন চলছে দুটি করে লঞ্চ।

এই নৌরুটে লঞ্চ কমিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি ও কুয়াকাটা লঞ্চের মালিক কালাম খান বলেন, ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে এখন জ্বালানি, স্টাফদের বেতন ভাতাসহ খরচই উঠছে না। যাত্রী কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের। এ কারণে কয়েকটি লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, যাত্রী সংখ্যা বাড়বে এই আশায় রয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।

পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা মামুন-অর রশিদ বলেন, 'পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় লঞ্চের যাত্রীর ক্ষেত্রে প্রভাব তো পড়েছেই। আগের তুলনায় লঞ্চে যাত্রী কম দেখা যাচ্ছে। পরে হয়তো লঞ্চের যাত্রী কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English
chocolate trend in Bangladesh

Mimi, nostalgia and new bites

Local, global brands offer treats for all budgets, with young people driving the demand

14h ago